বাংলা বিনোদনের দুনিয়ায় সুদীপ্তা রায়ের (Sudipata Roy) নামটা এখন প্রায় ভুলতে বসেছেন সকলে। অথচ একসময় বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Telivision) সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়েছিলেন তিনি। খুব ছোট বয়সে ডান্স বাংলা ডান্সের হাত ধরে প্রথমবার পর্দার সামনে এসেছিলেন তিনি। এরপর বেশ কিছু ধারাবাহিকে অভিনয় করারও সুযোগ হয়েছিল তার। কিন্তু তারপরই কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন সুদীপ্তা।
অভিনেত্রী সুদীপ্তা রায়ের টেলিভিশনে ডেবিউ হয়েছিল ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়ার রিয়েলিটি শোয়ের হাত ধরে। তিনি ছিলেন এই মঞ্চের একজন প্রতিযোগী। ছোট্ট মিষ্টি চেহারার মেয়েটিকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন দর্শকরা। নাচের জন্য বেশ প্রশংসাও পেয়েছিলেন তিনি। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই প্রথম অভিনয়ের সুযোগ আসে তার হাতে।
সুদীপ্তা ছিলেন বাংলা টেলিভিশনের কম বয়সী অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। ২০১৫ সালে রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’ উপন্যাস অবলম্বনে জি বাংলাতে যে ধারাবাহিক শুরু হয় সেই ধারাবাহিকে তিনি অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। অতটুকু বয়সেই নিখুঁত অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি পর্দায় তার চরিত্রটিকে উপস্থাপন করেছিলেন বেশ দক্ষতার সঙ্গে।
প্রথম সিরিয়ালই দুর্দান্ত অভিনয়ের পর তাকে আর বসে থাকতে হয়নি। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ‘চোখের বালি’ ধারাবাহিকে তিনি একটানা অভিনয় করেন। ২০১৬ তে ধারাবাহিকটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর পরের বছরই ‘আদরিনী’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ চলে আসে তার হাতে। এই ধারাবাহিকে পশু-পাখিদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব দেখানো হয়েছিল।
‘আদরিনী’ সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর আচমকাই কয়েক বছরের জন্য বিরতি নিয়ে নেন সুদীপ্তা। আসলে পড়াশোনা শেষ করার জন্যই তিনি ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। বেশ কয়েক বছর কেটে যাওয়ার পর তিনি আবার ফিরে আসেন নতুন এক ধারাবাহিকের হাত ধরে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গল্প ‘ক্ষীরের পুতুল’ অবলম্বনে কালার্স বাংলাতে এসেছিল এই সিরিয়ালটি।
এই রূপকথার কাহিনী নির্ভর ধারাবাহিকে সুদীপ্তা রাজার দুয়োরানীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু এই ধারাবাহিকটাও বেশি দিন চলেনি। ক্ষীরের পুতুল ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর পর্দায় ফিরে আসেননি সুদীপ্তা। ভবিষ্যতে তাকে ধারাবাহিকে আবার কবে দেখা যাবে তার কোনও নিশ্চিত খবর নেই। তবে দর্শকরা এখনও তার পর্দায় ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।