জিরো থেকে হিরো হওয়া কাকে বলে তা আক্ষরিক অর্থেই দেখিয়ে দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। একটা সময় ছিল যখন ইন্ডাস্ট্রিতে একটু সুযোগের আশায় তাকে দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়েছে। গায়ের রং কালো হওয়ার জন্য অনেক মুখ ঝামটাও শুনতে হয়েছে। অথচ এই কালো ছেলেটাই একদিন সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে হিরো হওয়ার জন্য ফর্সা রং নয়, প্রয়োজন অভিনয় আর নাচের ক্ষমতা।
নাচ এবং অভিনয়, ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার শুরু করার সময় মিঠুনের হাতে ছিল শুধু তার এই দুই গুণ। সেখান থেকেই আজ টলিউড কথা বলিউডের মহাগুরু হতে পেরেছেন তিনি। টলিউড তো বটেই, বলিউডও তাকে ‘দাদা’ বলে মান্যতা দেয়। এখানে মিঠুন চক্রবর্তীকে ইদানিং ছবিতে বড় একটা অভিনয় করতে দেখা যায় না। অবশ্য তিনি জীবনে যা কিছু উপার্জন করেছেন তারপরে তার ৭ পুরুষ অন্তত বসে খেতে পারবেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায় মিঠুন চক্রবর্তীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আড়াইশো কোটিরও বেশি। বলিউডের ধনী তারকাদের তালিকাতে রয়েছে তার নাম। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন নামী ব্যবসায়ীও। হোটেলের ব্যবসা রয়েছে তার। ভারতের বেশ কিছু জায়গাতে তার একাধিক হোটেল রয়েছে।
হোটেলের ব্যবসা থেকেই ইদানিং প্রচুর টাকা উপার্জন করছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিখ্যাত মোনার্ক গ্রুপ অফ হোটেল তারই সম্পত্তি। এছাড়াও উটি এবং মাসিনাগুড়িতে তার আরও দুটি বিলাসবহুল হোটেল রয়েছে। তামিলনাড়ুর উটিতে মিঠুন চক্রবর্তীর যে হোটেলটি রয়েছে সেটি তার বিলাসিতার কারণে জনপ্রিয়। এই হোটেলের অন্দরসজ্জা দেখলে তাক লেগে যাবে।
তামিলনাড়ুর হোটেলটির মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুল, ইনডোর প্লে জোন, ডিস্কো, রেস্তোরাঁ আরও কত কি! হোটেলের বাইরে রয়েছে একটা বড় বাগান। এখানে বাগান সংলগ্ন জায়গাতে রয়েছে হেলিপ্যাড। একসময় শুটিংয়ের জন্য উটিতে এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তখন সেখানকার সৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করে দেয়। মিঠুন এখানেই একটি হোটেল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমত তিনি কিছুদিনের মধ্যেই আস্ত একটি হোটেল গড়ে তোলেন উটিতে।
প্রথম জীবনে মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন অত্যন্ত গরিব ঘরের সন্তান। দারিদ্র কী তা নিজের চোখে দেখেছিলেন অভিনেতা। বলিউডে গিয়ে আধপেটা খেয়ে থেকেছেন, শুটিং ফ্লোরের বাইরে বেঞ্চে ঘুমিয়েছেন। তবুও হাল ছেড়ে দেননি অভিনেতা। তিনি ধৈর্য এবং নিজের উপর বিশ্বাস ধরে রাখতে পেরেছিলেন, তাই তো আজ ভাগ্য তার সহায় হয়েছে।