না খেয়ে কেটেছে দিন, ৩০০ ছবিতে অভিনয় করেও টলিউডে যোগ্য সম্মান পেলনা মাস্টার রিন্টু

৯০ এর দশকে কোনও বাংলা ছবিতে (Bengali Movie) শিশুশিল্পীর প্রয়োজন মানেই ডাক পড়তো মাস্টার রিন্টুর (Master Rintu)। পরিচালকদের অত্যন্ত পছন্দের খুদে অভিনেতা ছিলেন তিনি। তার অভিনয় পছন্দ করতেন দর্শকরাও। দর্শকদের থেকে ভালোবাসা পেয়ে অন্তত টলিউডে ৩০০ টিরও বেশি ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। কিন্তু এখন টলিউডে তার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। আজ আর কেউ তার খোঁজ পর্যন্ত নেন না।

৯০ এর দশকে প্রসেনজিতের ছেলেবেলা হোক বা তাপস পালের ছেলে কিংবা ভাইপো, সমস্ত খুদে চরিত্রের জন্য পরিচালকেরা আগেই পছন্দ করে নিতেন তাকে। ছোট্ট মায়াভরা ছেলেটিকে দেখলেই দর্শকরা ভালোবেসে ফেলতেন। তার যে একটা আলাদা নাম ছিল তা বলতে গেলে সকলেই ভুলে বসেছিলেন। আর এখন তো তার নামটাই নেওয়া হয় না টলিউডে।

সজল দে, মাস্টার রিন্টুর আসল নাম। ছোট বয়সে তিনি টলিউডে একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছেন মাস্টার রিন্টু নামে। বড় হতেই তাকে নায়কের বন্ধু কিংবা নায়িকার দাদার চরিত্রে সাইড রোলে সুযোগ দেওয়া হতে থাকে। নায়ক হয়ে উঠতে পারেননি সজল। অথচ তার সমসাময়িক অভিনেতারা এখন দাপিয়ে অভিনয় করছেন টলিউডে।

সময়ের ব্যবধানে আজ অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছেন সজল। এখন আর বাংলা সিনেমাতে তাকে দেখাই যায় না। ‘তুমি কত সুন্দর’ ছবিটি ছিল তার প্রথম কাজ। তবে তার প্রথম ছবি যেটা মুক্তি পেয়েছিল তার নাম ছিল ‘গুরুদক্ষিণা’। একসময় উৎপল দত্ত, তরুণ মজুমদার, সন্ধ্যা রায় থেকে তাপস পালদের থেকে তিনি অভিনয় শিখেছেন। ফেলে আসা সেই দিনগুলো তাকে হাতছানি দেয় বৈকি।

মাস্টার রিন্টুর সমসাময়িক শিশুশিল্পী মাস্টার বিট্টু অর্থাৎ আজকের ‘মহানায়ক’ সোহম চক্রবর্তী এখন বড় স্টার। অথচ ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে গেলেন মাস্টার রিন্টু। এর জন্য তার ক্ষোভ হয় বৈকি। লকডাউনে যখন তার হাতে কাজ ছিল না তখন তার একটা খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি এই ইন্ডাস্ট্রি। না খেয়েও থেকেছেন অভিনেতা, তবে টলিপাড়া ছিল নিশ্চুপ।

এখনও সোহম চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তার। সোহমের প্রযোজনা সংস্থাতে একটি প্রজেক্টের অংশও হয়েছিলেন তিনি। ব্যাস, ওই পর্যন্তই। তবে তার কাছে হয়তো বঙ্গ ভূষণ, বঙ্গবিভূষণ, মহানায়ক পুরস্কার পাওয়া যাবে না, কিন্তু তার কাছে রয়েছে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা, যা কেউ তার থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।