বদলে গেল জি বাংলার টাইম স্লট, নতুন সময়ে সম্প্রচার হবে রাণী রাসমণি

দেখতে দেখতে সাড়ে ৪ বছর পার। তবে আজও করুণাময়ী রানী রাসমণির (Korunamoyee Rani Rashmoni) জনপ্রিয়তা সেই আগের মতোই আছে। মাঝখানে পটপরিবর্তন হয়ে গিয়েছে অনেক। ধারাবাহিক যাদের নিয়ে শুরু হয়েছিল, আজ তারা কেউই প্রায় বলতে গেলে নেই। তবে দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy), গৌরব চ্যাটার্জীকে (Gourab Chatterjee) ছাড়াও দিব্যি রমরমিয়ে চলছে করুণাময়ী রানী রাসমণি উত্তর পর্ব (Korunamoyee Rani Rashmoni Uttor Porbo)।

১৫০০ পর্বে পৌঁছেও আগের মতো সমান জনপ্রিয়তা ধরে রাখা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এই অসাধ্য সাধন করতে পেরে তাই ১৫০০ পর্বে সেটে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন সকলে। সেটে আনানো হয়েছিল বড় কেক। রাসমণি পরিবারের সব থেকে ছোট সদস্য সুস্মিলি আচার্য অর্থাৎ ‘কুমুদিনী’ কেক কাটলেন। উদযাপনের সূত্রধর হলেন বিশ্বনাথ বসু ওরফে নগেন চৌধুরী। লেখিকা শাশ্বতী ঘোষ, কার্য নির্বাহী পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস এবং বর্তমান পরিচালক রূপক দেও সকলের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠলেন।

এই বিশেষ দিনে স্মৃতির আবেগে ভেসে গিয়েছেন রাজেন্দ্রপ্রসাদ। আনন্দবাজারকে তিনি জানালেন, ‘‘আজকের দিন দাঁড়িয়ে প্রথম দিনের কথা ভীষণ মনে পড়ে যাচ্ছে। সেই সময় একের পর এক পিরিয়ড ড্রামা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। ফলে, আমরা সবাই আশা-নিরাশায় দুলছিলাম। অনেকে সাবধানও করেছিলেন। বলেছিলেন, বুঝে পা বাড়াতে। আমি বলেছিলাম, সবাই মিলে একটা ভাল কাজের চেষ্টা করছি। নিশ্চয়ই ভাল ফলাফল পাব।’’

প্রথম দিনের শুটিংয়ের কথা খুব বেশি মনে পড়ছে তার। প্রথম দিনেই চুনো মাছ ভাজতে হয়েছে রাসমণি দিতিপ্রিয়াকে। তিনি মাছ ভাজতে জানতেন না মোটেও। প্রথম দিনেই হাতে তিন-চারটে ফোসকা পড়ে যায় তার। তবুও তিনি নিজের জেদে অনড়, জেদ ধরে বলেছিলেন, “আমি পারব আঙ্কেল। আপনি ক্যামেরা চালু রাখুন”। পরিচালকের কথায়, ‘‘এ দিকে আমি ভাবছি, ছোট পর্দায় চুনোমাছ ভাজা কি দেখাতে পারব? যদি কোনও নিয়মে আটকায়! শেষে ঠাকুরের নাম নিয়ে দৃশ্যটা নিয়েই নিলাম।’’

রানিমা ওরফে দিতিপ্রিয়া এখন তার নতুন ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। একটানা ধারাবাহিক দেখা হয়ে উঠছে না তার। ছোটজামাই মথুরবাবুর সঙ্গে অনস্ক্রীন রাণীমার দারুণ বন্ডিং ছিল। বাস্তব জীবনেও তাদের দারুণ সখ্যতা। বললেন, ‘‘আমি আর গোগো খুব ভাল বন্ধু। কত ছোট থেকে চিনি ওকে! ‘দুর্গা’ ধারাবাহিকে আমার বাবা হয়েছিল। আমার যখন শেষদৃশ্য তখনই বলেছিল, ‘‘তুই না থাকলে কী করে কাজ করব রে?’’ অনেক বুঝিয়েছিলাম। দেখলাম, পরে গোগো-ও সরে এল।’’

নিজের হাতে স্বয়ং রামকৃষ্ণকে কেক খাইয়ে দিলেন সারদা সন্দীপ্তা সেন! তিনিও কেকের ক্রিম লাগিয়ে দিলেন সহধর্মিনীর নাকে! নতুন বছরের শুরুতেই একাধিক চমক অপেক্ষা করে রয়েছে বাংলা ধারাবাহিকের দর্শকদের জন্য। বাংলার গ্রামের আনাচে কানাচের লোকগানের পসরা সাজিয়ে আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘পিলু’। ‘পিলু’ এসে বদলে দিচ্ছে জি বাংলার টাইম স্লট। আগামী ১০ই জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় সম্প্রচারিত হবে এই নতুন ধারাবাহিক।  আগামী ১০ই জানুয়ারি থেকে সন্ধ্যে ৬.৩০ টার বদলে প্রতিদিন সন্ধ্যে ৬ টায় রাসমণি দেখা যাবে।