নাম, অর্থ, খ্যাতি, এই সবকিছুই যেমন একজন তারকা অর্জন করেন, ঠিক তেমনি মাঝে মাঝে তারকা হওয়ার সুবাদে এমনই কিছু কটাক্ষ বা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের, যা সত্যি কল্পনারও অতীত। তেমনি একটি অদ্ভুত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে (Aishwarya Rai Bachchan)। আরাধ্যা হওয়ার আগেও নাকি ঐশ্বর্য হয়েছিলেন মা, এমন দাবি করেন এক যুবক।
তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন বলতে কিছু নেই। তাদের নিয়ে যা খুশি মন্তব্য করা যায়, এমনটাই মনে করেন অনেকেই। যা আরো বেশি বেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্তের ফলে। পোশাক হোক অথবা ব্যক্তিগত সম্পর্ক, তারকাদের সব সময় তটস্থ থাকতে হয় নেটিজেনদের কু মন্তব্যের সামনে। তবে ঐশ্বর্যকে এমন একটি পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছিল যা তিনি কোনদিন ভাবতেও পারেননি।
২০১৮ সাল নাগাদ অন্ধপ্রদেশের এক যুবক হঠাৎ করে দাবি করেন, আরাধ্যা ছাড়াও নাকি ঐশ্বর্যের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ওই যুবকের নাম ছিল সংগীত কুমার। সংগীতের তখন বয়স ছিল প্রায় ২৯ বছর। খবরটি শুনে রাতারাতি তোলপাড় হয়েছিল সংবাদ মাধ্যম। কিন্তু ঐশ্বর্যের সেই প্রথম সন্তান কে? কেমনি বা দেখতে তাকে?
সংগীত দাবী করেছিলেন, ঐশ্বর্যের সেই প্রথম সন্তান আর কেউ নন, তিনি নিজেই। ঐশ্বর্যের যখন মাত্র ১৫ বছর বয়স, তখনই তাকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন ঐশ্বর্য। ব্যাপারটি সবার থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল কারণ তখন ঐশ্বর্য ছিলেন অবিবাহিত। প্রথম সন্তানকে তাই সকলের থেকে লুকিয়েই জন্ম দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য।
ওই যুবক আরো দাবী করেছিলেন, আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। শুধু তাই নয়, নিজের ছোটবেলার ছবিও তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরে নিজেকে ঐশ্বর্যের ছেলে বলে দাবি করেন। যদিও সংগীত যে দাবি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসেছিলেন তা একেবারেই ধোপে টেকেনি।
আরও পড়ুন : ঐশ্বর্য কেড়ে নিয়েছেন স্বামীকে, হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অভিষেকের প্রথম স্ত্রী
আরও পড়ুন : একজন নয় দুজন নয় এই বিশ্বেই রয়েছে ৬ নকল ঐশ্বর্য রায়, দেখে ধরতে পারবেন না
সংগীতের এই দাবি শুনে প্রথমেই যে প্রশ্নটি সবার মনে উঠেছিল সেটি হল, হঠাৎ করে কেন আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হতে যাবেন ঐশ্বর্য? বিয়ের আগে অনেকেই মা হন কিন্তু এই ভাবে নয়। আর সব থেকে বড় কথা ঐশ্বর্যের সঙ্গে সংগীতের চেহারার বিন্দুমাত্র মিল ছিল না। প্রশ্ন উঠেছিল সংগীতের পিতৃপরিচয় নিয়েও। কদিন ব্যাপারটি নিয়ে খুব হইচই হলেও খুব তাড়াতাড়ি খবরটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মন থেকে মুছে যায়। যদিও সেই সময় এই খবরটির জন্য অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল ঐশ্বর্যকে।