হিন্দি বিনোদন (Hindi Telivision) জগতে জেঠালালের (Jethalal) সঙ্গে সকলেই পরিচিত। ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ (Tarak Mehta Ka Ulta Chasma) ধারাবাহিকটি বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই দর্শকদের মনোরঞ্জন করে আসছে। ২০০৮ সালে এই কমেডি শো’য়ের যাত্রা শুরু হয় যার জনপ্রিয়তা এখনও পর্যন্ত অটুট। ধারাবাহিকে প্রতিটি চরিত্রই নিজগুণে জায়গা করে নিয়েছে দর্শকের মনে। জেঠালাল, দয়াবেন, ববিতা আন্টি তো বটেই, জেঠালালের বাবার চরিত্র বাপুজীও বেশ জনপ্রিয় দর্শক মহলে। আজকের এই প্রতিবেদনের রইল তার সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য।
ধারাবাহিকে জেঠালালের ভূমিকায় অভিনয় করছেন দিলীপ জোশি। বিগত ১৩-১৪ বছর যাবত এই ধারাবাহিকের সম্প্রচার চলছে। ধারাবাহিকে অন্যান্য চরিত্রের মত বাপুজী চরিত্রটিও রয়েছে জনপ্রিয়তার শিখরে। এই চরিত্রে অর্থাৎ জেঠালালের বাবা চম্পকলালের ভূমিকাতে অভিনয় করছেন অভিনেতা অমিত ভাট (Amit Bhatt)। অন্যান্য চরিত্রের পাশাপাশি বাপুজী চরিত্রটিও দর্শকদের বিনোদন যোগাচ্ছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে। বাপুজীর সঙ্গে জেঠালালের যুগলবন্দী দর্শককে প্রাণ খুলে হাসায়।
ধারাবাহিকে বাপুজীকে বেশ বয়স্ক বলে মনে হলেও আদতে কিন্তু তার বয়স অত বেশি নয়। বাস্তবে তিনি জেঠালাল দিলীপ জোশির থেকেও বয়সে ছোট। কাজেই পর্দাতে বাবার ভূমিকাতে অভিনয় করলেও বাস্তবে তিনি দিলীপ জোশির থেকে ৪ বছরের ছোট। দশাসল চম্পকলাল হয়ে ধারাবাহিকে তিনি ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধের ভূমিকাতে অভিনয় করছেন। তবে বাস্তবে তার চেহারা দেখলে কারও মনেই হবে না ইনিই চম্পকলাল।
বাস্তব জীবনে অমিত বেশ সুদর্শন এবং তরুণ। তার স্ত্রী কৃতি ভাটও সৌন্দর্যের দিক থেকে বলিউড তারকাদের টেক্কা দিতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে বাপুজী বেশ সক্রিয় থাকেন। মাঝেমধ্যেই সুন্দরী স্ত্রীর সঙ্গে নিজের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করেন তিনি। সেই সকল পোস্টের নিচে কৃতির সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন নেটিজেনরা। ধারাবাহিকে যারা বাপুজীকে দেখতে অভ্যস্ত, তারা হঠাৎ করে তার আসল চেহারা দেখলে অবাক হতেই পারেন। কারণ চরিত্রের প্রয়োজনে মেক আপের গুনে বয়স্ক দেখালেও আদতে তিনি বেশ হ্যান্ডসাম পুরুষ।
‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’র সৌজন্যে আজ আর তাদের সংসারে কোনও অভাব নেই। এই কমেডি ধারাবাহিক দুই হাত ধরে আনন্দ উপহার দেয় দর্শকদের। দর্শকরাও দুই হাত ভরেই ফিরিয়ে দিয়েছেন ভালোবাসা। কাজেই সুন্দরী স্ত্রীর সঙ্গে বেশ সফলভাবেই বিলাসবহুল জীবন কাটাচ্ছেন বাপুজী। সদ্য তিনি ঝাঁ-চকচকে একটি নতুন গাড়ি কিনেছেন লক্ষাধিক টাকা দিয়ে।