এই একটি কারনেই বাগদান করেও রবীনা ট্যান্ডনকে বিয়ে করেননি অক্ষয় কুমার

অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) এবং রবিনা ট্যান্ডনের (Raveena Tandon) সম্পর্ক একসময় ছিল বলিউডের (Bollywood) হটকেক বিষয়বস্তু। গুঞ্জন, তাদের নাকি বাগদান হয়ে গিয়েছিল। তবে বিয়ে পর্যন্ত এগোনোর আগেই তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। যার কারণ নিয়ে বারবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন রবিনা। ছবির দুনিয়াতে অক্ষয়ের ‘সাদাসিধে’ ইমেজ থাকলেও ব্যক্তিগত জীবনে, বিশেষত প্রেম জীবনে অক্ষয়ের পরিচয় রবিনার কাছে প্রকৃত অর্থেই ‘খিলাড়ি’।

৯০ এর দশকের দিকে বলিউডের হিট জুটি ছিল অক্ষয় কুমার এবং রবিনা ট্যান্ডনের। একসাথে বহু সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তারা। অফস্ক্রিনেও তাদের কেমিস্ট্রি ছিল জমজমাট। সেইসময় তাদের অভিনীত মোহরা ছবির ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ গানটি আজও জনপ্রিয়। শোনা যায় অফস্ক্রিনে তাদের প্রেমের রসায়ন বাগদান পর্যন্তও গড়িয়েছিল। সে কথা দুজনেই স্বীকার করেন। তবে তারপরই তাদের দুজনের রাস্তা আলাদা হয়ে যায়।

টুইংকেল খান্নাকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন অক্ষয়। অন্যদিকে রবিনাও অনিল ঠান্ডানিকে পরে বিয়ে করে নেন। তবে অক্ষয় প্রতি তার বিদ্বেষী মনোভাব এখনও বজায় আছে। একসময় অক্ষয় সম্পর্কে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যঅ করেছেন রবিনা। তিনি জানিয়েছেন অক্ষয়কে তিনি একেবারেই ভরসা করেন না। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেছেন, ‘‘অক্ষয়ের সামনে যে মেয়েই আসুন না কেন, সে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসত। যে গতিতে ও এগোচ্ছে, তাতে মনে মুম্বয়ের প্রতি তিন-চারটি মেয়ের বাবাকেই ওকে মা-বাবা বলে ডাকবে।’’

একা রবিনা নন, অক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে পেজ থ্রির পাতায় উঠে এসেছিলেন পুজা বাত্রা, শিল্পা শেট্টি, টুইংকেল খান্নার নামও। এমনকি বলিউড অভিনেত্রী রেখার নামও উঠে এসেছিল এই তালিকাতে। ‘খতঁরো কে খিলাড়ি’ ছবির সময় রেখার সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। সেই সময়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন রবিনা। মুখ খুলেছিলেন রেখার ‘বাড়াবাড়ি’ নিয়ে। রেখার সম্পর্কে রবিনা বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয় না, অক্ষয়ের সঙ্গে রেখার সম্পর্ক ছিল। উল্টে রেখার থেকে দূরে পালাত অক্ষয়। ওই ফিল্মের জন্যই রেখাকে সহ্য করতে হত। এক সময় তো অক্ষয়ের জন্য বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার নিয়ে আসতে চেয়েছি্লেন রেখা। সে সময়ই আমি বাধা দিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, (রেখা) বড্ড বাড়াবাড়ি করছেন।’’

এ হেন অক্ষয় সম্পর্কে অনেকেই বলেন, ‘ক্যাসানোভা’ শব্দটা যেন ওঁর সমার্থক। সাধে কি আর রবিনা বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত থাকাটাই আসল। আমার কাছে সেটাই বড় ব্যাপার। তবে অক্ষয়ের কাছে এ সবের কোনও মূল্য নেই। ও আশা করে, প্রতি বারই আমি ওকে মাফ করে দেব। প্রায় তিন বছর ধরে সে রকমই করে এসেছিলাম। তবে শেষের দিকে আর নিতে পারছিলাম না!’’ অক্ষয় এবং রবিনার বিয়ের কথা উঠলো মহিলা ভক্তদের কাছে জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে। এমন আশঙ্কায় বিয়ের কথা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন অক্ষয়। রবিনা তাতেও রাজি হয়েছিলেন। নিতান্তই সাদামাটাভাবে তাদের বাগদান অনুষ্ঠান হয়েছিল। রবিনার কথায়, ‘‘আচমকাই ঠিক করেছিলাম, বাগদানের অনুষ্ঠান করব। এমন এক জনের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল, যাকে আমি চিনি, জানি। আমিও সব ছেড়েছুড়ে সকলের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চেয়েছিলাম। বিয়ের আগে থেকেই অভিনয় ছেড়ে দেব বলেও স্থির করেছিলাম।’’

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘‘কোনও জাঁকজমক নয়, বেশ ছিমছাম অনুষ্ঠান হয়েছিল। মন্দিরের পুরোহিত পুজোটুজো করছিলেন। অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমার আর অক্ষয়ের পরিবার দিল্লি থেকে এসেছিল। অক্ষয়ের পরিবারের এক জন বয়স্ক মানুষ তো আমার মাথায় দোপাট্টা বেঁধে দিয়েছিলেন। হয়তো তিনি ভেবেছিলেন, আমাদের বিয়ে হচ্ছে!’’ যদিও পরে অবশ্য সম্পর্কটাই ভেঙে যায়। এ সম্পর্কে বহুদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অক্ষয়। শেষমেষ সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘‘আমার এবং রবিনার কেবলমাত্র বাগদান হয়েছিল। যা পরে ভেঙে যায়। কিন্তু মাফ করবেন, আমার কখনই বিয়ে করিনি!’’ অক্ষয় দাবি করেন, ‘‘রবিনার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গেলেও আমরা দীর্ঘ দিন একসঙ্গে কাজ করেছি।’’