বাড়ি বাঁচাতে ছদ্মবেশে ঝুনঝুনওয়ালার অফিসে হাজির খড়ি-ঋদ্ধি, দারুণ চমক গাঁটছড়ায়

এই মুহূর্তে স্টার জলসার (Star Jalsha) গাঁটছড়া (Gantchhora) ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় টপারের আসন দখল করতে মরিয়া। তাই গল্পে কোনওরকম খামতি রাখা হচ্ছে না। ভট্টাচার্য্য বাড়ি পুনরুদ্ধারকে কেন্দ্র করে পরপর চমক আসছে ধারাবাহিকে। ভট্টাচার্য্য বাড়ি আবার ফিরে পাওয়ার জন্য রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছে ঋদ্ধিমান। তার জন্য জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে সেও।

রাহুলের ষড়যন্ত্রে জালিয়াতি করে অসৎ প্রোমোটার ঝুনঝুনওয়ালা খড়িদের বাড়ি হাতিয়ে নিয়েছে। আইনের পথে হেঁটে ঋদ্ধিমান জালিয়াতদের কাছ থেকে বাড়ি ছাড়িয়ে আনার হুমকি দিয়েছে। কিন্তু তা মোটেও পছন্দ হয়নি খড়ির। বরং ঋদ্ধিমানের অকারণ ‘হিরোগিরি’তে উল্টে বিরক্তই হয়েছে সে।

অবশেষে ঋদ্ধিমান বাড়ি ফিরে পাওয়ার জন্য তুখড় এক প্ল্যান ফেঁদে ফেলেছে। দুবাইয়ের এক বিত্তবান শেখ সেজে ঝুনঝুনওয়ালার অফিসে হাজির হয় ঋদ্ধিমান। সেখানে গিয়ে সে নিজেকে বিশাল বড় ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয়।

ঋদ্ধিমান বলে, পৃথিবীর সব দেশেই তার একটি করে বাড়ি রয়েছে। এবার ভারতের ঐতিহ্যময় কোনও বাড়ি সে কিনতে চায়। এমন একজন গ্রাহক পেয়ে ঝুনঝুনওয়ালা তো দারুণ খুশি। কিন্তু সে প্রশ্ন করে বসে ভালো ভালো বাংলো, অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে কেন পুরনো বাড়িই কিনতে চাইছে সে?

উত্তর দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খায় ঋদ্ধি। তখনই সেখানে বোরখা পরে হাজির হয় খড়ি। নিজেকে শেখের স্ত্রী হাসিনা বলে পরিচয় দিয়ে সে বলে পুরনো বাড়িই তার পছন্দ।

এদিকে আবার সিংহ রায় বাড়ি এবং ভট্টাচার্য বাড়ির আশ্রয় হারিয়ে রাহুল, দ্যুতিরা মহা বিপদে পড়েছে। রীতিমতো রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হয়েছে তাদের। যদিও পিসেমশাই প্রসূন অবশ্য তাদের মাথা গোঁজার জন্য একটা জায়গা খুঁজে দিয়েছে। আবার চায়ের দোকান চালিয়ে যাতে তারা অন্নসংস্থান করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। যদিও রাহুল-দ্যুতির এই অবস্থা দেখে দর্শকরা বেশ খুশিই হয়েছেন। তাদের উচিত শিক্ষাই হয়েছে, বলছেন নেটিজেনরা।