আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলার মুখ উজ্বল করলেন শ্রীলেখা, পেলেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার

টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে (Sreelekha Mitra) ইদানিং বাংলা ছবিতে খুব বেশি কাজ করতে দেখা যায় না। নেপোটিজমের রাজত্বে একসময় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেরিয়ারে মাঝপথেই ফুলস্টপ লেগে গিয়েছিল। তবে কথাতেই বলে যিনি যোগ্য তিনি সব অবস্থাতেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়ে শ্রীলেখা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করলেন।

কলকাতা শহরে আয়োজিত ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে ডাক পান না শ্রীলেখা। নিজের রাজ্যে, নিজের শহরে সম্মান না পেলেও বিশ্বের দরবারে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার হাতে উঠেছে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। ‘নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ (Newyork Film Festival) থেকে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন বাংলার এই অভিনেত্রী।

কিছুদিন আগেই ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন শ্রীলেখা। সেখানে তার অভিনীত ছবি প্রদর্শন করা হয়। অথচ কলকাতা শহরের চলচ্চিত্র উৎসব থেকে কখনও ডাক আসেনি তার জন্য। ফেসবুকে এই প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, “কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২ থেকে কোন আমন্ত্রণ আসেনি, এমনকি একটা ফোন পর্যন্ত না। এটা কি আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে না কোনো অজ্ঞাত কারণ আছে? তৃণমূল সরকার কি প্রতিহিংসাপরায়ন!” প্রশ্ন রেখেছিলেন বামপন্থী শ্রীলেখা।

যদিও ‘নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ তাকে তার যোগ্য সম্মানে ভূষিত করেছে। ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন ক্যালকাটা’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হলেন শ্রীলেখা। সোশ্যাল মিডিয়াতে পুরস্কার পাওয়ার মুহূর্তে তার নাম ঘোষণা করাকালীন ভিডিও এবং পুরস্কারের ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লিখেছেন, “আমি জিতেছি। ধন্যবাদ বিশ্ব, ধন্যবাদ নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।

ধন্যবাদ আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত। ধন্যবাদ অরিন্দম ঘোষ। ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন ক্যালকাটা ছবির গোটা টিম কে ধন্যবাদ। শুভাকাঙ্ক্ষী এবং নিন্দুক সকলকেই ধন্যবাদ, তোমাদের কাছে আমি ঋণী। আমার বাবা-মা খুব গর্বিত আমি নিশ্চিত।” শ্রীলেখার হাতে সেরা সম্মান আসায় গর্ববোধ করছেন তার মেয়েও। মায়ের সাফল্যে তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে মেয়ের শেয়ার করা শুভেচ্ছা বার্তা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তিনি স্মরণ করেন তার বাবাকে। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “বাবা দেখছো?”