৪ সন্তানের পিতা সাইফ আলী খানের (Saif Ali Khan) জীবনে প্রেম এসেছিল বহুবার। দুবার বিয়ে, একাধিকবার প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। তবে এত কিছু পরেও সাইফ আলী খানের প্রেম জীবনের কিছু কথা আজও আমাদের কাছে রয়েছে অজানা। এবার ‘কফি উইথ কর্ণ’ নামক চ্যাট শোতে এসে ছেলের অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করলেন মা শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)।
অল্প বয়সেই বিয়ে করেছিলেন সাইফ আলি খান। প্রায় ১০ বছরের বড় অমৃতা সিংকে বিয়ে করেছিলেন পরিবারের অমতে। দুই সন্তানের জন্মের পর অমৃতা এবং সাইফ আলী খানের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয় এবং দুজনে নিজেদের পথ আলাদা করে ফেলেন। প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের কয়েক বছর পর ১০ বছরের ছোট কারিনা কাপুর খানকে বিয়ে করেন তিনি।
তবে অনেকেই জানেন না অমৃতা সিংহের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর এবং কারিনা কাপুর খানের সঙ্গে বিয়ের মধ্যেকার সময়ে সাইফ আলী খানের জীবনে এসেছিল আরো একজন নারী, যার নাম রোজা ক্যাটালানো। রোজা ছিলেন ইতালির মডেল। একটা সময় পার্টিতে বা সিনেমার সেটে সব সময় সাইফ আলী খানের সঙ্গে দেখতে পাওয়া যেত এই মডেলকে। তবে কিছু বছর সম্পর্কে থাকার পর সাইফ এবং রোজার সম্পর্ক তিক্ততার সঙ্গেই শেষ হয়।
তবে এবার ‘কফি উইথ করণ’ শোতে এসে ছেলের আরো অজানা কথা সকলের সামনে তুলে ধরলেন শর্মিলা ঠাকুর। ইতিমধ্যেই করণ জোহর সঞ্চালিত এই পর্বের নতুন প্রমো প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ছেলের সঙ্গে এই প্রথমবার অনুষ্ঠানে আসতে চলেছেন শর্মিলা ঠাকুর। প্রমো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ছেলের অনেক অজানা কথা সকলের সামনে তুলে ধরবেন শর্মিলা।
আরও পড়ুন : ক্লাস নাইনে অন্তঃসত্ত্বা থেকে MMS ফাঁস, করিনা কাপুরের কীর্তি শুনলে চোখ কপালে উঠবে
প্রমোতে দেখা যাচ্ছে, করণ যখন শর্মিলাকে জিজ্ঞাসা করছেন, তিনি কবে শেষ সাইফ আলী খানকে তিরস্কার করেছেন। উত্তরে সময় না নষ্ট করে শর্মিলা ঠাকুর বলেন, “এই তো কয়েক মিনিট আগে।”এ কথা শুনে বেশ বোঝাই যাচ্ছে, মায়ের থেকে মাঝে মাঝেই বকা খেতে হয়, নবাবপূত্তুরকে। তবে এখানেই শেষ নয়, ছেলের কলেজ জীবনের নানা অজানা কথাও সকলের সামনে শেয়ার করলেন শর্মিলা।
আরও পড়ুন : ৩ ছেলেমেয়ে মাকে দেখে না! রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া সন্তানরাই বুড়ো বয়সে আগলে রাখছে শর্মিলাকে
সাইফের কলেজ জীবনের কথা বলতে গিয়ে শর্মিলা বলেন,” সাইফ পড়াশোনা করতে কলেজ যেত না, কলেজে যেত বিমান সেবিকার সঙ্গে দেখা করতে। ইংল্যান্ডের কলেজে যখন ও পড়তো, এমন অনেক সময় হয়েছে কলেজে না গিয়ে বিমান সেবিকাদের সঙ্গে বেড়াতে চলে গেছে ও।” মায়ের মুখে এমন কথা শুনে কিছুটা থতমত খেয়ে সাইফ তাড়াতাড়ি মাকে থামাতে যান। কিন্তু মা কিছুতেই থামছে না দেখে রীতিমতো হতাশ হয়ে সাইফ আলী খান বলেন,” আমাকে কি এইসব শোনার জন্যই ডাকা হয়েছে?”