জি বাংলার (Zee Bangla) ‘সর্বজয়া’ (Sarbojaya) ধারাবাহিকে জয়ার স্বামী এখনও অসুস্থ। তবে জয়ার বিশ্বাস তার স্বামী সঞ্জয় একদিন ঠিক সুস্থ হয়ে উঠবেন। জয়ার বিশ্বাসে বিশ্বাসী তার মেয়ে সারাও। সেও বিশ্বাস করে তার মা যেভাবে বাবার দেখভাল করছেন, যত্ন নিচ্ছেন, সেই ভালবাসার জোরেই ঠিক সুস্থ হবেন সঞ্জয়। বাবা আবারও হুইল চেয়ার ছেড়ে একদিন ঠিক উঠে দাঁড়াবে। মায়ের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখে সারা।
অথচ সঞ্জয় চৌধুরী দুর্ঘটনায় অসুস্থ হওয়ার পর হুইলচেয়ারে আশ্রয় নেওয়াতে তার নিতান্তই আপনজনেরা হায়েনার মতো ওঁৎ পেতে রয়েছে সম্পত্তি হাতিয়ে নেবে বলে। এমনকি তারা সঞ্জয় এবং সর্বজয়াকে বিজনেস থেকে এবং বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে আনতে চায়! তবে এত বিপদ এবং ষড়যন্ত্রের মাঝেও মাথা ঠান্ডা রেখে চলেছে জয়া। বিশ্বাসের জোরেই সে কঠিন থেকে কঠিনতম পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে সাহসের সঙ্গে।
মায়ের চরিত্রের এই পজিটিভ দিক সারাকেও ছুঁয়ে গিয়েছে। সে বিশ্বাস করে তার মা একটা তীর্থক্ষেত্রের মতো। যার সংস্পর্শে এলেই নাকি সব পাপ ধুয়ে যায়। মায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সারা। মাকে নিয়ে গর্বিতও বটে। সে বিশ্বাস রাখে তার মা যেমন ভালোবাসা দিয়ে তার বাবাকে ঠিকই একদিন আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনবে, তেমনই মায়ের সংস্পর্শে এলেই সকলের মনের সব পাপ ধুয়ে যাবে। বাবার প্রতি মায়ের এত ভালবাসা দেখেও সারা মুগ্ধ হয়েছে।
কেউ যে কাউকে এতটা ভালবাসতে পারেন, তা সারার জানা ছিল না। তবে মেয়েকে সর্বজয়া বলেন, তিনি তার স্বামীকে যতটা না ভালোবাসেন, তার স্বামী সঞ্জয় তাকে তার থেকেও বেশি ভালোবাসেন। এইজন্যই তো তার অন্যান্য জায়েরা তার প্রতিহিংসার মনোভাব রাখে। আপাতত অসুস্থ স্বামীর দেখভাল করার পাশাপাশি জয়া অফিসের দায়িত্বও সামলাচ্ছে ‘সর্বজয়া’ হয়ে। প্রথম প্রথম অবশ্য অফিসের কাজকর্ম করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হলেও জয়া ঠিকই সব দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে।
View this post on Instagram
পরিবারের হায়নাদের সে ব্যবসার কোনও ক্ষতি করতে দেয়নি। একইসঙ্গে বাড়িতেও যথা সম্ভব পজেটিভ থাকার চেষ্টা চালাচ্ছে সে। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে ছোটদের নিয়ে বসছে নাচ-গান, আর নাটকের আসর। জয়াও তার ভাগীদার। সে ঠিক তার স্বামীকে আবার নিজের দুই পায়ে দাঁড় করাবে। বিশ্বাস হারায়নি জয়া।