প্রয়াত বাবার স্মৃতি আঁকড়ে আফসোস শ্রীলেখার, বাবার সম্মানার্থে করলেন এক বিশেষ কাজ

টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের (Sreelekha Mitra) বাবা সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। বাবার স্মৃতি অভিনেত্রীর মনে উজ্জ্বল। মনে মনে ভেঙে পড়লেও বাবার স্মৃতি আঁকড়েই বেঁচে থাকতে হবে শ্রীলেখাকে। বাবার মৃত্যুতে যেন শ্রীলেখার মাথার উপর থেকে ছাতা সরে গিয়েছে। নিজের আসন্ন ছবির প্রিমিয়ারেও বাবার অভাব টের পেলেন শ্রীলেখা। তবে তিনি মনে করেন না তার বাবা তার পাশে ছিলেন না।

সশরীরে না হোক, বাবার ভালোবাসা, আশীর্বাদ নিয়েই এদিন ছবির প্রিমিয়ারে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। বাবার উপস্থিতি অনুভব করে চিরদিনের অভ্যাসমতো নিজের পাশের সিট খালি রাখলেন তিনি। বুধবার গোলাপি রঙের একটি শাড়ি পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন শ্রীলেখা। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি নিজের ছবি শেয়ার করে আফসোস জাহির করলেন।

শ্রীলেখা তার পোস্টে ক্যাপশনে লিখেছেন, “কাল শোয়ে আমার পাশের সিটটা খালি রেখেছিলাম। বাবা আমার সব ছবির প্রিমিয়ার শোয়ে সবার আগে পৌঁছে যেত। হয়তো কাল ছিলে আমার পাশে। গর্বিত পিতা মোর। আরেকটু বাঁচতে পারতে বাবা…. এখনও মানতে পারিনা”। বাবা আজীবন শ্রীলেখার এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা ছিলেন। মায়ের চলে যাওয়ার পর বাবার মৃত্যুতে একা হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী।

শ্রীলেখার বাবা সন্তোষ মিত্র ছিলেন একজন স্পেশিয়ান অভিনেতা। বাবা সব সময় তাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। কোনও দিন কোনও কাজে তাকে বাধা দেননি। মেয়ের প্রত্যেক ছবির প্রিমিয়ারে তার থাকা চাইই-চাই। শ্রীলেখা নিশ্চিত, ‘অভিযাত্রিক’ও তার বাবার আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত নয়।

সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’, ‘অপুর সংসার’ এর পর প্রায় ৬০ বছর পর ফের বড়পর্দায় ফিরলো অপু। আপাতত বেশকিছু চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে ‘অভিযাত্রিক’। তবে এখনো পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি এই ছবি। মধুর ভান্ডারকর প্রযোজিত এবং শুভজিৎ মিত্র পরিচালিত এই ছবিতে অপুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্জুন চক্রবর্তী। ‘অপর্ণা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিতিপ্রিয়া রায়। শ্রীলেখা অভিনয় করেছেন ‘রানুদি’র চরিত্রে।