বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা সালমান খান (Salman Khan)। তার ভক্তসংখ্যা নেহাত কিছু কম নয়। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সল্লু-ভাইয়ের ফ্যানরা। বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে বলিউডকে একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন সালমান খান (Salman Khan)। “ভাইজানে”র “অ্যাকশন”-এই কার্যত কাত বলিউড। অভিনয়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে সালমান এখন বলিউডের অন্যতম প্রযোজক হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন।
এহেন হেভিওয়েট সেলিব্রিটির বডিগার্ড (Bodyguard) থাকা বাধ্যতামূলক। সালমানের যিনি বডিগার্ড (salman khan bodyguard), তার নাম শেরা (Shera)। নেটদুনিয়ায় দৌলতে সালমান খানের (Salman Khan) অনুরাগীরা ইতিমধ্যেই শেরাকে চিনে ফেলেছেন। সালমান যেখানেই যান না কেন, তার সঙ্গে সদা-সর্বদা ছায়ার মতো লেগে থাকেন শেরা। ভাইজানকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
১৯৯৫ সালে শেরা ভাইজানের দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শেরা ভাইজানের দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। সালমানকে “মালিক’ বলে সম্বোধন করেন তিনি।
শোনা যায়, বহু বছর আগে সালমান খানের ভক্তরা তাকে এমন ভাবে ঘিরে ধরে যে তাঁর গাড়ি এগোতেই পারছিল না। সেই সময় শেরা প্রায় চার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে নিজ দায়িত্বে সালমানকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
শেরা থাকাকালীন সালমানের শরীরে একটি আঁচড়ও কাটতে পারবেন না কেউ। এহেন বডিগার্ডের মাসিক পারিশ্রমিক শুনলে হতবাক হয়ে যাবেন আপনি। সালমানের সুরক্ষার জন্য নিযুক্ত দেহরক্ষী শেরা তার পারিশ্রমিক বাবদ মাসে ১৫ লক্ষ টাকা করে পান! অর্থাৎ বছরে তার আয় হয় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, শেরার আসল নাম হলো গুরমিত সিং (Gurmeet Singh)। তাঁর “মালিক’ সালমান যেমন হেভিওয়েট সেলিব্রিটি, তেমন তিনিও কিন্তু কিছু কম যান না। ১৯৮৭ সালে শেরা বডি বিল্ডিং এর জন্য ‘মিস্টার মুম্বাই’ খেতাব জিতেছিলেন।
আরও পড়ুন : মুকেশ আম্বানির ড্রাইভারের বেতন লজ্জায় ফেলে দেবে দেশের বড় কর্পোরেট সংস্থার কর্মীদেরও
এরপর ১৯৮৮ সালে ‘মিস্টার মহারাষ্ট্র’ জুনিয়ারে দ্বিতীয় হয়েছিলেন তিনি। শোনা যায়, সালমানের বডিগার্ড হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে শেরা বিদেশি সেলিব্রেটিদের বডিগার্ড হিসেবে কাজ করতেন।