Saayoni Ghosh On Nusrat Jahan : একজন তৃণমূল (Trinamool Congress) -র তারকা সাংসদ, আর একজন সেই দলেরই যুবনেত্রী। দুজনের বিরুদ্ধেই কোটি কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। দুজনকে নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি (ED)। দুজনেই আবার টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তারা হলেন নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan) এবং সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। সদ্য ২৪ কোটি টাকার ফ্ল্যাট দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছে নুসরাত জাহানের নাম। সহকর্মীকে নিয়ে কী বললেন সায়নী ঘোষ?
কিছুদিন আগেই সায়নী ছিলেন নুসরাত জাহানের জায়গায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের থেকে তার আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা জানার জন্য ইডি তাকে তদন্তের স্বার্থে ডেকে পাঠায়। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিস্তর লেখালেখি হয় সায়নীকে নিয়ে। এখন যেমনটা চলছে নুসরাত জাহানকে নিয়েও। একটি সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে নুসরাত নাকি ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন! এমনই অভিযোগ উঠছে।
দুর্নীতি মামলাতে নুসরাত তার বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়ালের অভিযোগ তুলেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি স্বীকার করেছেন তিনি ওই অভিযুক্ত সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। ওই সংস্থা থেকে তিনি বেশ মোটা অংকের ঋণও নিয়েছিলেন। নুসরাতের দাবি তিনি সেই টাকাটা সুদ সমেত ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। নুসরাতকে নিয়ে এই টানাপোড়েনের মাঝেই মুখ খুললেন সায়নী।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূলের যুবনেত্রী বলেছেন তার নিজেরও ব্যক্তিগতভাবে মিডিয়া ট্রায়ালের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রয়েছে। আদালতে শুনানি হওয়ার আগেই সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি হয়। এই নিয়ে অভিযোগের সুর শোনা গেল সায়নীর গলায়। তিনি বলেছেন নুসরাতের সঙ্গে তার কথা হয়নি। তবে তিনি টিআরপির জন্য কারও ক্ষতি চান না।
নুসরাতকে নিয়ে যে তথ্য মিলছে তাতে জানা গিয়েছে আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগে তিনি অভিযুক্ত ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। তার সংস্থা রাজারহাট হিডকোর কাছে ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে তুলেছিল। এইভাবে প্রায় ২৪ কোটি টাকার কাছাকাছি তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করছেন অভিযুক্তরা। কিন্তু তারা প্রতিশ্রুতি মত ফ্ল্যাট পাননি দশ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও।
আরও পড়ুন : কী কী সুবিধা নিয়েছিলেন ডিরেক্টর হিসেবে? ফাঁস হল প্রতারণা মামলায় নুসরাতের বড় কীর্তি
নুসরাতকে নিয়ে অভিযোগ করা হয় তিনি নাকি ওই সংস্থা থেকে টাকা নিয়ে নিজেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন। যদিও অভিনেত্রীর দাবী তিনি ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা লোন নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ৬ই মে ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা তিনি ফেরত দেন। ২০১৭ সালেই তিনি ওই সংস্থা থেকে পদত্যাগ করেন। মাত্র ৭ মিনিট সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়েই রাগ দেখিয়ে উঠে চলে যান নুসরাত।
আরও পড়ুন : পার্কস্ট্রিট কান্ড থেকে প্রতারণা! ফাঁস হল নুসরাত জাহানের ৫ কুকীর্তি