

বলিউড গায়ক কে কে প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করার দরুণ মুহূর্তের মধ্যেই শ্রোতাদের কাছে ভিলেনে পরিণত হয়েছিলেন রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi)। তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি সপ্তাহ। এখনও নেটিজেনরা পুরোপুরি ক্ষমা করেননি তাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রবল কটাক্ষের আঁচ কার্যত তার পরিবারের গায়ে এসেও লেগেছিল। বাবার প্রত্যেক অপমান, হেনস্থায় মনে মনে আঘাত পেয়েছিল রূপঙ্কর এবং চৈতালির (Chaitali Lahiri) ছোট্ট মেয়ে মহুল (Mohul)। ফাদার্স ডে উপলক্ষে বাবাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কলম ধরলো সে।
মহুল রূপঙ্কর এবং চৈতালির দত্তক সন্তান। তবে ছোটবেলা থেকেই রূপঙ্কর এবং চৈতালিকেই বাবা-মা হিসেবে চিনে এসেছে সে। তাকে নিয়ে অনেক কটাক্ষ হয়ে এসেছে। সে এই তারকা দম্পতির দত্তক সন্তান বলে অনেকেই অনেক কথা বলেন। কিন্তু রূপঙ্কর এবং চৈতালি কখনও তাকে আপন সন্তানের তুলনায় কম ভালোবাসেননি। ফাদার্স ডে-তে একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে বাবাকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা লেখে মহুল।
মহুল লিখেছে, “সবার কাছে আমার বাবা তারকা। কিন্তু আমার বা মায়ের কাছে তো তা নয়।” সে লিখেছে শত ব্যস্ততার মধ্যেও রূপঙ্কর কখনও তার প্রতি অবহেলা করেননি। তিনি কখনই তাকে বুঝতে দেননি তিনি আলাদা জগতের মানুষ। মেয়ের জন্য সব সময় সময় থাকে তার কাছে। মহুলের কথায়, ‘কিছু দিন আগেও রোজ আমায় স্কুলে দিতে যেত। অনুষ্ঠান সেরে ভোর চারটেয় ফিরেও ঠিক স্কুলে যাওয়ার সময় উঠে পড়ত বাবা। বাবা-মেয়ের একান্ত সময়টুকু কোনও দিন মিস করত না।’
বাড়িতে গানের চর্চার ফাঁকে ছবি আঁকা, টিভি দেখা, খেলা খুনসুটি সবই চলে বাবার সঙ্গে। আবার কখনও কখনও একসঙ্গে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তারা। বাবার পথ অনুসরণ করে সংগীতের চর্চা শুরু করেছে মহুল। অনেক সময় রূপঙ্করের গানে ইউকুলেলে বাজিয়ে সঙ্গতও দিয়ে থাকে মেয়ে। ফাদার্স ডে উপলক্ষে বাবার জন্য বিশেষ একটি কার্ড বানিয়েছে মহুল। সঙ্গে একটি কবিতাও লিখেছে।
এই বিশেষ দিনটিতে মহুলের ছিল একটাই প্রার্থনা, “আমার বাবা যেন খুব ভালো থাকে। তাঁর সব ইচ্ছে পূরণের চেষ্টা করব আমি”। বিগত কয়েকদিনে বাবা যে প্রতি মুহূর্তে কী সাংঘাতিক কষ্ট পেয়েছেন তা সব সময় টের পেয়েছে সে। সেই সময় বাবাকে আগলে রাখার চেষ্টা করেছিল মহুলও। সকলের উদ্দেশ্যে তাই তার বার্তা, “আমার বাবার নাম রূপঙ্কর বাগচী। এক জন শিল্পী। এক জন তারকা। আর তারকাদেরও কিন্তু যন্ত্রণা হয়!”