Rupankar Bagchi : ফের বিতর্কের মুখে পড়লেন রূপঙ্কর বাগচী। বেলগাছিয়া পোস্ট অফিসে গিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধিয়ে বসেন রূপঙ্কর এবং তার স্ত্রী চৈতালি বাগচী (Chaitali Bagchi)। এমনকি সরকারি অফিসারকে প্রকাশ্যে গালাগাল করেছেন তিনি এমনটাই অভিযোগ। সম্পূর্ণ ঘটনার বিবরণ দিয়ে সেই পোস্ট অফিসের এক কর্মী ফেসবুকে লম্বা একটা পোস্ট করেন। ছড়িয়ে পড়তেই রূপঙ্করকে নিয়ে সমালোচনা হতে শুরু করে।
পোস্ট অফিসের ওই কর্মী ফেসবুকে যা লিখেছেন তার অর্থ এই দাঁড়াচ্ছে যে রূপঙ্কর ও চৈতালি আধার সংক্রান্ত কাজ করানোর জন্য পোস্ট অফিসে এসেছিলেন। চৈতালি নাকি তাড়াহুড়ো করছিলেন এই বলে যে তিনি রাজ্য সরকারের মহিলা সুরক্ষা দপ্তর থেকে আসছেন। তাই যে সমস্ত সাধারণ মানুষেরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের রেখে তার কাজ আগে করে দিতে হবে। এতেই বাঁধে বিপত্তি।
ওই কর্মী আদতে চৈতালির এমন কথায় আমল দেননি। লাইন ভঙ্গ করে তিনি চৈতালিকে আগে সুবিধা দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু বুঝিয়ে বলার পরেও নাকি চৈতালি ‘পাওয়ারফুল শিল্পীপত্নী’র মত আচরণ করছিলেন ও দুপুর ১.৩০ টায় আসবেন বলে জানিয়ে যান। ১.৩০ টার বদলে কাজ ১.৩৫ মিনিটে শুরু হলে রূপঙ্কর ও চৈতালি দুজনেই দুর্ব্যবহার শুরু করেন। এমনকি রেগে গালাগালি দিয়ে বসেন রূপঙ্কর।
চৈতালি নাকি বলেছেন, “মুড়ি-মুড়কি এক করলে চলবে না। বুঝতে হবে কাকে আগে করতে হবে।” রূপঙ্কর অশালীন শব্দবন্ধ ব্যবহার করলে পোস্ট অফিসে উপস্থিত কর্মচারী এবং অন্যান্য কাস্টমাররা প্রতিবাদ শুরু করেন আর চৈতালি নাকি স্বামীকে ‘বগলদাবা’ করে বাড়িতে চলে আসেন। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে ফেসবুকে।
প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে রূপঙ্কর আজতক বাংলাকে এই মর্মে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তার কথায়, “গত শনিবার আমি ও আমার স্ত্রী পোস্ট অফিসে গিয়েছিলাম আধার কার্ডের ছোট্ট একটা কাজ করাতে। আসলে গতবার আমার স্ত্রী ভুল ঠিকানার জন্য ভোট দিতে পারেননি, সেই আধার কার্ডের কাজকরানোর জন্য আমরা পোস্ট অফিস গিয়েছিলাম। আমি তখন গাড়িতেই ছিলাম, আমার স্ত্রী গিয়েছিলেন পোস্ট অফিসের ভেতর। প্রায় ৪৫ মিনিট কেটে যাওয়ার পর আমি পোস্ট অফিসের ভেতর যাই। ঢুকে দেখি যে পোস্ট অফিসের কর্মীদের সঙ্গে চৈতালির বাক-বিতণ্ডা হচ্ছিল। তখন আমি চৈতালিকে বলি কী হচ্ছে টা কী এবং তার সঙ্গে অশালীন একটি ভাষা।”
“তখন ওখান থেকে সবাই চিৎকার করে বলেন আপনি অশালীন শব্দটি বললেন কেন? তখন আমি বলি যে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছি। তখন চৈতালি আমাকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি তখন ওঁনাদের বলার চেষ্টা করছিলাম যে আসলে আমি ঠিক কোন শব্দটা বলেছি।”
আরও পড়ুন : হিন্দি গানের সমালোচনা করে নিজেই সুর চুরি করলেন, রূপঙ্করের বিরুদ্ধে সরব নেটিজেনরা
রূপঙ্কর আরও বলেছেন, “আমার স্ত্রীকে সরকারি কর্মীরা বলেন যে এখন আধার কার্ডের কাজ হবে না, সকালে অনেক ভিড় থাকে। তখন চৈতালি বলে যে এখন তো সাড়ে বারোটা-একটা বাজে, ভিড় কম আছে, এখন করে দিচ্ছেন না কেন? কিন্তু তাঁরা তখনও করতে চাননি। সেই সময় চৈতালি বলেন যে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টে আমার জানার অধিকার আছে এটা কেন হবে না। এই কথা শোনার পর অনেকেই রেগে গিয়েছিলেন, তাঁরা আমার স্ত্রীর সঙ্গে খারাপভাবে কথা বলেন এবং বলতেই থাকেন ক্রমাগত।”
আরও পড়ুন : ‘হু ইজ অরিজিৎ ম্যান?’, কেকের পর অরিজিৎকে নিয়ে কমেন্ট করে বিতর্কে জড়ালেন রূপঙ্কর বাগচী
রূপঙ্করের পাল্টা অভিযোগ পোস্ট অফিসে সাধারণত এরকম আধার কার্ড সংক্রান্ত কাজের জন্য দালাল থাকে। সেই কারণেই হয়ত তাদের কাজ করে দিতে ঢিলেমি করা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, এর আগেও বলিউড গায়ক কেকে সম্পর্কে রূপঙ্করের ‘হু ইস কেকে’ মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। তার মন্তব্যের মধ্যে অহংকারী মনোভাবের আভাস পেয়েছিলেন নেটিজেনরা। যে কারণে তাকে নিয়ে চরম সমালোচনা হয় সেই সময়।