অনেক চেষ্টার পরেও মা হতে পারিনি! ‘ইস্মার্ট জোড়ি’তে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন রূপঙ্করের স্ত্রী

বাংলা গানের ভক্তরা রূপঙ্কর বাগচীকে (Rupankar Bagchi) নিঃসন্দেহে চেনেন। তিনি সঙ্গীত দুনিয়ার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব। রূপঙ্করের গান গত কয়েক দশক ধরে সঙ্গীতপ্রেমীদের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। ‘ও চাঁদ তোর জন্মদিনে’ বা ‘ও আমার বৌদিমণির কাগজওয়ালা’ বা ‘এ তুমি কেমন তুমি’, রবীন্দ্র সংগীত হোক বা আধুনিক সঙ্গীত, রূপঙ্কর বাগচীর গান প্রেমিক-প্রেমিকাকে রোমান্টিসিজমের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে।

গায়ক অনস্ক্রিন যতবারই এসেছেন তাকে হাসিখুশি মুখেই দেখেছেন অনুরাগীরা। আপাতদৃষ্টিতে তাকে বেশ মজাদার এবং রসিক মানুষ বলেই মনে হয়। তার মুখ দেখলে কে বলবে মনের গভীরে দুঃখ লুকিয়ে রেখেছেন তিনি হাসির আড়ালে? সম্প্রতি স্টার জলসার ‘ইস্মার্ট জোড়ি’তে সস্ত্রীক হাজির হয়ে রূপঙ্কর বাগচী তার জীবনের কিছু অজানা সত্যি কথা তুলে ধরলেন অনুরাগীদের সামনে।

রূপঙ্কর বাগচী এবং চৈতালি লাহিড়ী গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন বেশ কয়েক বছর আগে। দীর্ঘ বেশ কয়েকটা বছর তারা একসাথে পথ চলেছেন। জীবনের বহু চড়াই-উৎরাইয়ের মুখে পরস্পরের পাশে থেকেছেন। এবার ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র মঞ্চে জিতের সামনে এসে সুখের সংসারেও বিরাট এক মন খারাপের কথা শেয়ার করে নিলেন চৈতালি। চৈতালি জানান দীর্ঘদিন চেষ্টার পরেও তারা সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি।

বহু ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েও কিছুই লাভ হয়নি। কিছুতেই যখন সন্তানের মুখ দেখে উঠতে পারছিলেন না তখন শেষমেশ তারা সন্তান দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যেই ভাবা সেই কাজ। অনাথ আশ্রম থেকে একটি কন্যা সন্তানকে দত্তক নিয়ে তাকেই সন্তানস্নেহে পরম যত্নে মানুষ করছেন রূপঙ্কর এবং তার স্ত্রী। কথা বলতে বলতে এই সেলিব্রিটি জুটির চোখে জল চলে আসে। চৈতালি মঞ্চে অঝোরে কেঁদে ফেলেন।

দত্তক কন্যাকে গর্ভজাত সন্তানের থেকে কোনও অংশে কম ভালোবাসেন না রূপঙ্কর এবং তার স্ত্রী। মেয়ে একটু বড় হতেই তাকে সব কথা জানিয়ে দেন তারা। চৈতালি তাকে বলেছিলেন তাদের দত্তক কন্যা তার গর্ভ থেকে জন্মাননি, জন্মেছেন মন থেকে। এদিন মঞ্চে রূপঙ্কর এবং চৈতালির কন্যাও উপস্থিত ছিলেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। এই আবেগঘন মুহূর্তটি দর্শকদের চোখেও জল এনে দিয়েছে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Star Jalsha (@starjalsha)