

স্টার জলসার সুপার সিঙ্গার জুনিয়রের মঞ্চ থেকে গানের দুনিয়াতে পথচলা শুরু হয়েছিল নদীয়ার খুদে বাউল প্রাঞ্জল বিশ্বাসের (Pranjal Biswas)। এতটুকু বয়সে বাংলার লোকগীতিকে নতুনভাবে শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপন করে সারা বাংলার মন জয় করে নিয়েছিল ছোট্ট এই খুদে। সে হয়েছিল বাংলার বিজেতা। সেই ছেলেটাই এখন শহর থেকে দূরে সুদূর মুম্বাইতে আলো ঝলমলে মঞ্চে দোতারা বাজিয়ে লোকগান উপস্থাপন করছে বলিউড তারকাদের সামনে।
বাংলার এই খুদে বাউল চান্স পেয়ে গিয়েছে ‘সুপারস্টার সিঙ্গার’ (Superstar Singer Season 2)এর মঞ্চে। জাভেদ আলি, হিমেশ রেশমিয়া, অলকা ইয়াগ্নিকদের সামনে গান গেয়ে এক লহমায় জিতে নিয়েছে তাদের মন। এখন তার সুরের জাদুতে মুগ্ধ গোটা দেশ। অডিশন থেকে শুরু করে সিলেকশন রাউন্ড পর্যন্ত একের পর এক গান শুনিয়ে বিচারক এবং শ্রোতাদের মোহিত করে যাচ্ছে ছোট্ট প্রাঞ্জল।
বাংলার লোকগানের সঙ্গে হিন্দি গানের মিশেলে অসাধারণ পরিবেশন উপহার দিয়ে যাচ্ছে প্রাঞ্জল। তার গান শুনলে এক লহমায় শিহরণ জাগে সারা শরীরে। কখনও সে গাইছে, ‘আমার মন মজাইয়ারে দিল মজাইয়া মুরশিদ নিজের দেশে যাও’। কখনও আবার তার গলায় শোনা যাচ্ছে, ‘আমায় ভাসাইলি রে ডুবাইলি রে’! ছোট্ট প্রাঞ্জলের গানে সত্যিই যেন ডুব দিয়েছে গোটা দেশ।
রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে শুধু গান গেয়ে নয়, জীবন দর্শনের মূল্যবান কথা শুনিয়ে মুগ্ধ করেছে প্রাঞ্জল। তার কথায় জীবন কাটানো নয়, জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে মন খুলে বাঁচাই হল আসল কথা। এরপর সে জসীমউদ্দিনের ‘জ্বালাইয়া চাঁন্দেরও বাতি, আমি জেগে রব সারারাতি গো…’ গানের সঙ্গে এস ডি বর্মনের ‘ওয়াহা কৌন হে তেরা মুসাফির’ গানের মিশেলে অদ্ভুত সুন্দর পরিবেশন উপস্থাপন করে।
প্রাঞ্জলের গান কখনও বিচারকদের নিজ আসনে বসে থাকতে দেয় না। হিমেশ রেশমিয়া, অলকা ইয়াগনিক, জাভেদ আলি থেকে শুরু করে মেন্টর অরুনিতা কাঞ্জিলাল, পবনদ্বীপ রাজন, সায়লি কাম্বলে এবং সালমান আলিরা প্রাঞ্জলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বর্তমান সিজনের শুরুতেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে সে। ‘সুপারস্টার সিঙ্গার সিজন ১’ এর বিজেতা হয়েছিল কলকাতার প্রীতি ভট্টাচার্য। এবার প্রাঞ্জলের উপর ভরসা রাখছেন গোটা বাংলার মানুষ।