জাতীয় মঞ্চ জিতে ফিরতেই প্রাঞ্জলের হাতে টলিউডের সুযোগ, দেবের ছবিতে গান গাইল খুদে

স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘সুপার সিঙ্গার জুনিয়র’ এর মঞ্চে বাউল গান গেয়ে সারা বাংলার মানুষের নজরে পড়ে গিয়েছিল ছোট্ট প্রাঞ্জল (Pranjal Biswas)। সেই থেকেই তার প্রতি সারা বাংলার মানুষের যেন এক আলাদাই মায়া পড়ে গিয়েছে। অতটুকু বয়সেই তার গানের গলা মুগ্ধ করে কুমার শানু, জিৎ গাঙ্গুলী, কৌশিকি চক্রবর্তীদের। তবে নদীয়ার প্রাঞ্জল বিশ্বাসের পথটা এই মঞ্চ থেকে সবে শুরু হয়েছিল।

‘সুপার সিঙ্গার জুনিয়র’ এর পর ‘সুপারস্টার সিঙ্গার ২’ এরও ফাইনালিস্ট হয়ে ওঠে প্রাঞ্জল। জাতীয় মঞ্চেও বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছে সে। এমন প্রতিভাকে টলিউড কি আর সুযোগ না দিয়ে পারে? নদীয়ার এই খুদে শিল্পীর কন্ঠের যাদু এবার টলিউড ছবিতেও ধরা পড়তে চলেছে। জীবনে প্রথমবার টলিউডে (Tollywood) প্লেব্যাক গাওয়ার সুযোগ পেল প্রাঞ্জল। তাকে সেই সুযোগ করে দিলেন দেব।

Pranjal Biswas won the Hearts of Every Indian at Superstar Singer 2

‘সুপার সিঙ্গার জুনিয়র’ মঞ্চে প্রাঞ্জল এর গান শোনার সুযোগ হয়েছিল দেবের। বিচারকদের পাশাপাশি অতিথি বিচারক হিসেবে দেবের মনটাও জিতে নিয়েছিল সে। এবার দেব-প্রসেনজিতের ‘কাছের মানুষ’ ছবিতে একটি গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছি প্রাঞ্জল। ‘গাড়ি ঘোরাতে যেমন চাকা লাগে, কলিযুগে বাঁচতে গেলে টাকা লাগে’, প্রাঞ্জল বিশ্বাসের গলায় এই গান আরও একবার শ্রোতাদের মন ভরিয়ে দিয়েছে।

এর আগে বাংলার মঞ্চ ‘সুপার সিঙ্গার জুনিয়র’-এ ছোট্ট প্রাঞ্জল জানিয়েছিল ভবিষ্যতে সে বাউল হয়ে উঠতে চায়। বাউল সংগীত থেকে বাউলদের জীবন তাকে ছোট থেকেই টেনেছে। সেই আকর্ষণ থেকেই বাউল গান শিখেছিল সে। গানের মাধ্যমে সাধারণ শ্রোতাদের তো বটেই, সেই সঙ্গে অলকা ইয়াগ্নিক, হিমেশ রেশমিয়া, এবং জাবেদ আলীর মত তাবড় তাবড় সুপারস্টারদেরও মুগ্ধ করে প্রাঞ্জল।

‘সুপারস্টার সিঙ্গার’ এর মঞ্চে তার গান বিচারক থেকে মেন্টরদের রোমাঞ্চিত করেছে বারবার। এমনকি তার গান শুনে ভাবের আবেগে বিচারকদের কাঁদতেও দেখা গিয়েছে ভাইরাল ভিডিওতে। এতোটুকু বয়সেই সঙ্গীতের জগতে নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরতে পেরেছে ছোট্ট বাউল। ভবিষ্যতে সে আরও বড় সঙ্গীত শিল্পী হয়ে উঠবে, তা শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

প্রাঞ্জল যেখানে, তার প্রিয় দোতারাও সেখানে। গানের লঞ্চের অনুষ্ঠানের দিনেও সে তার দোতারা সঙ্গে নিয়েই এসেছিল। বাংলার জনপ্রিয় লোকগান ‘টাকা লাগে’ এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নীলায়ন চট্টোপাধ্যায় এই গানটির কথা লেখেন এবং তাতে সুর দেন। আর প্রাঞ্জল সেই গানের সুরে বাউল গানের আমেজ নিয়ে এসে তাকে পরিপূর্ণ করে তুলেছে।