বিতর্কিত মন্তব্য করে মহাবিপাকে কঙ্গনা, সুপ্রিম কোর্টে কঙ্গনার পোস্ট সেন্সর করার আবেদন

বলিউড (Bollywood) হোক বা রাজনীতি, একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে ক্রমশ নিজের শত্রু বৃদ্ধি করেছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। তার মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ওঠে ঝড়। ঠিক এই কারণেই টুইটার কর্তৃপক্ষ বেশ কিছুদিন আগেই কঙ্গনাকে ব্যান করেছে তাদের প্ল্যাটফর্মে। তবে এতে অবশ্য কঙ্গনার মুখ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।

এবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে আবেদন গেল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতে বলিউড অভিনেত্রীর সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট শেয়ার করার আবেদন জানানো হয়েছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই আর্জি জানানো হয়েছে, এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা ওই আবেদন পত্রটিতে।

ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর ২৬/১১ এর ভয়ঙ্কর হামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেছিলেন কঙ্গনা। তারপর থেকেই নাকি তাকে প্রাণনাশের হুমকি পাঠানো হয়। এই নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়াতে এফআইআরের কপিও পোস্ট করেছিলেন কঙ্গনা। তারপরেই কার্যত সুপ্রিম কোর্টে কঙ্গনার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট সেন্সর করার আবেদন করা হয়।

কঙ্গনা সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছিলেন, “ভাতিন্ডার এক ব্যক্তি আমাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছেন”। কঙ্গনা আরও লিখেছেন, তিনি অবশ্য কাউকে ভয় পান না এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তিনি করেই যাবেন। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি এই ধরনের হুমকিতে ভীত নই। আমি সব সময় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি যারা দেশের বিরুদ্ধে যায় এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে এবং তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেই থাকবো”।

উল্লেখ্য, সদ্য প্রধানমন্ত্রীর কৃষি আইন প্রত্যাহার সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও মুখ খুলেছিলেন কঙ্গনা। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে লেখেন, “খুবই দুঃখজনক বিষয়। লজ্জাজনক এবং অসমীচীন ঘটনা। সরকারের করা নিয়ম অমান্য করে রাস্তার লোকেরা যদি এবার আইন তৈরি করতে শুরু করে তাহলে তারা তো জিহাদীর সমান। অভিনন্দন সেই সব লোকদের, যারা এটা চাইছিলেন”।

সদ্য দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ১০৪তম জন্ম দিবস উপলক্ষে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তার একটি ছবি দিয়ে কঙ্গনা কৃষি আইনের বিরোধীদের কটাক্ষ করেন। তিনি লিখেছেন, যখন দেশের মানুষের চেতনা চলে যায়, “তখন লাঠি দিয়েই একমাত্র ঠান্ডা করা সম্ভব। না হলে এদের আটকাতে দরকার স্বৈরতন্ত্র।”