Nusrat Jahan Money Fraud Case : টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) -র নাম আগেও জড়িয়েছে নানা বিতর্কে। এবার উঠেছে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ। একই সঙ্গে টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট হস্তান্তর না করার অভিযোগ করা হয়েছে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। তার নামে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। আর এবার এই ইস্যুতেই নিজের বক্তব্য রাখতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সংবাদিকের প্রশ্নের মুখে পড়ে জবাব না দিয়ে পালালেন নুসরত।
সোমবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েক জন প্রবীণ নাগরিককে নিয়ে ইডির যুগ্ম অধিকর্তার কাছে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা। অভিযোগ, নুসরতের সংস্থা বয়স্ক নাগরিকদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছে। টাকা আত্মসাৎ করে আর ফ্ল্যাট দেয়নি। দাবি, সেই অঙ্ক ২৪ কোটি টাকা। আর এদিন এই যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নুসরত।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন এই অভিনেত্রী। সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ের জন্য আউটডোরে ছিলাম। তাই গতকাল আমি আসতে পারিনি। আমি কৈফিয়ৎ দিতে এখানে আসিনি। ব্যাখ্যা তারা দেয়, যারা ভুল করে। যাদের মনে অন্যায় থাকে। আমি আপনাদের কাছে এসেছি, কারণ মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। এটি আদালতের বিচারাধীন বিষয়। এখন যে কোর্ট কেসে পেন্ডিং আছে, সেই জুডিশিয়াল ম্যাটারে ইন্টারফেয়ার করা কোনও সভ্য সমাজের কাজ নয়।’
এরপর নুসরত বলছে শুরু করেন, ‘ প্রথমত, যে কোম্পানির নামে অভিযোগ উঠেছে আর্থিক দুর্নীতির, তার সঙ্গে নাকি আমি জড়িত। আমি এই সংস্থার সঙ্গে তখন যুক্ত থাকলেও এখন আর যুক্ত নেই। সেই কোম্পানি আমি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ছেড়ে দিয়েছি। আর যেই টাকা নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে ওটা আমি ওই সংস্থা থেকে প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে নিয়েছিলাম।’
এরপর তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি দুর্নীতির টাকায় কিনিনি। আমি কোনওদিনই এরকম কোনও কাজ না করেছি, না করব। ৩০০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, দুর্নীতির সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নয়।’ তিনি ঋণের অঙ্ক পেশ করে জানান, ‘১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা’ তিনি ঋণ নিয়েছিলেন, ২০১৭ ৬ মে সুদ সহ ১ কোটি ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরৎ দিই এই কোম্পানিকে’। তিনি এও জানান যে ‘সব ব্যাঙ্ক ডিটেইল আমার রেকর্ডে আছে।’
এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, ফ্ল্যাট কেনার জন্য অভিযোগকারীরা ২০১৪ সালে টাকা দিয়েছিলেন সংস্থাকে। আবার নুসরতের নিজের বক্তব্য অনুযায়ীই সে সময়ে তিনি সংস্থার একজন ডিরেক্টর। উপরন্তু তিনি তখনই লোন নিলেন যখন অর্থাৎ ২০১৭ সালে সংস্থার তরফে ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা ছিল। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তিনি ব্যাংক থেকে লোন না নিয়ে কেন কোম্পানি থেকেই লোন নিলেন? পদত্যাগ করলেই সব দায়মুক্ত হওয়া যায়?
আরও পড়ুন : কী কী সুবিধা নিয়েছিলেন ডিরেক্টর হিসেবে? ফাঁস হল প্রতারণা মামলায় নুসরাতের বড় কীর্তি
এদিন এই সব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তৃণমূল সংসাদ নুসরত জাহান। বদলে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গিয়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করলেন মিডিয়া ট্রায়ালের উপর। তারপর মাত্র ৭ মিনিটেই সাংবাদিক বৈঠক শেষ করে প্রেস ক্লাব ছাড়েন প্রশ্নবাণে বেসামাল নুসরত।
আরও পড়ুন : ৪০০ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, সরিয়েছেন কোটি কোটি টাকা! ফাঁস হল নুসরাতের সব কুকীর্তি