ফ্যান্টম থেকে গঙ্গুবাই, হুসেন জাঈদীর রহস্য কাহিনীতে ৭ সিনেমা রয়েছে বলিউডে

বক্স অফিসে ১০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে আলিয়া ভাটের গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি‌ (Gangubai Kathiawadi)। ছবির এই সাফল্যের পেছনে সঞ্জয় লীলা বানশালী এবং আলিয়া ভাটের ভূমিকা অনেক। তবে যার লেখনীতে গঙ্গুবাইয়ের সঙ্গে আলাপ হল বলিউডের, তিনি হুসেন জাঈদী (Hussain Zaidi)। তিনি না থাকলে গঙ্গুবাইকে ক’জনই বা চিনতেন? একা গঙ্গুবাই নয়, নিজের লেখনীর মাধ্যমে বলিউডে এমন ৭টি ক্রাইম থ্রিলার সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ উপহার দিয়েছেন লেখক।

হুসেন জাঈদীর ‘মাফিয়া কুইন্স অব মুম্বই: স্টোরিজ অব উইমেন ফ্রম দ্য গ্যাংল্যান্ডস’ নামের ক্রাইম কাহিনি অবলম্বনে গঙ্গুবাইয়ের কাহিনী জেনেছে গোটা দেশ। তার লেখা বইতে ভারতের ১৩ জন মহিলা মাফিয়ার জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়। এরা সকলেই মুম্বাইয়ের অপরাধজগতে রাজত্ব করতেন। গঙ্গুবাইয়ের আগে ছোট এবং বড় পর্দা মিলিয়ে আরও বেশ কিছু প্রজেক্টের জন্য পরিচালকদের হুসেন জাঈদীর দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। সত্য ঘটনা অবলম্বনে তার লেখনীতে উঠে আসে মুম্বাইয়ের বিস্ফোরণের কাহিনী।

১৯৯৩ সালের সেই ভয়ঙ্কর ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা অবলম্বনে তিনি লিখেছিলেন ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে: দ্য ট্রু স্টোরি অব দ্য বম্বে বম্ব ব্লাস্ট’। ২০০২ সালে তার এই বইটি প্রকাশ পায়। ২০০৪ সালে এই কাহিনী অবলম্বনে অনুরাগ কশ্যপ বানিয়ে ফেলেছিলেন ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ ছবি। কে কে মেনন, পবন মালহোত্রা, আদিত্য শ্রীবাস্তবদের নিয়ে এই ছবি বলিউডের ‘কাল্ট’ ছবির তালিকায় নাম তুলে ফেলেছিল। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’র আশাতিত সাফল্যের পর বলিউড পরিচালকদের কাছে তার লেখনীর কদর বাড়তে থাকে।

২০১৫ সালে কবীর খানের ‘ফ্যান্টম’ এর প্লট নেওয়া হয়েছিল জাঈদীর লেখা ‘মুম্বাই অ্যাভেঞ্জার’ বই থেকে। এছাড়াও তার লেখা ‘ডোংরি টু দুবাই: সিক্স ডিকেডস অব দ্য মুম্বই মাফিয়া’-র অবলম্বনে ‘শুটআউট অ্যাট ওয়াডলা’ বলিউডে ছিল সুপারহিট। শুধু সিনেমা নয় ওয়েব সিরিজের গল্পও লিখেছেন তিনি।

‘লাহোর কনফিডেনসিয়াল’ এর চিত্রনাট্যও লিখেছিলেন তিনি। এছাড়াও মৌনি রায় এবং পূরব কোহলীর ‘লন্ডন কনফিডেনসিয়াল’ এর জন্যেও কলম ধরেছিলেন তিনি। নেটফ্লিক্সের ‘ক্লাস অফ ৮৩’ এর ছবির চিত্রনাট্যও তার গল্প অবলম্বনেই বানানো হয়েছে। এই ছবিতে অভিনয় করেন ববি দেওল।