বিশ্বসেরা শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এবং তার স্ত্রী নীতা আম্বানি (Nita Ambani) দুজনেই হলেন নামকরা পাবলিক ফিগার। শুধু শিল্পপতি মহলেই নয়, মুকেশ-পত্নী নীতাকে নিয়ে সাধারণ থেকে সেলিব্রিটি সর্বস্তরেই বিস্তর চর্চা হয়। এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ধনকুবেরের স্ত্রী বলে কথা, নীতা আম্বানির লাইফস্টাইল কার্যত সাধারণের কল্পনারও বাইরে।
বলতে গেলে একপ্রকার রানীর হালে দিন কাটান নীতা আম্বানি। তবেই জানেন কি বিয়ের আগে কিন্তু নীতা ছিলেন এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। ভাগ্যের ফেরে তিনি আম্বানি পরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার সুযোগ পান। তবে নীতাকে ঘরের বউ করে তোলার জন্য তার শ্বশুরমশাই ধীরুভাই আম্বানি (Dhirubhai Ambani) -কে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল।
বিয়ের আগে সামান্য বেতনে বাচ্চাদের একটি স্কুলে পড়াতেন নীতা আম্বানি। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে প্রথমবার নীতাকে দেখেন ধীরুভাই এবং তার স্ত্রী। তার রূপ এবং গুণে মুগ্ধ হয়ে স্কুলের ওই প্রথম দেখাতেই নীতাকে ছেলের বউ হিসেবে ঘরে তুলতে চান তারা। নীতার কাছে ছিল এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ। তবুও তিনি তার শর্তের সঙ্গে আপোষ করেননি।
মুকেশ আম্বানিকে বিয়ে করার সুযোগ হাতে পেয়েও কঠিন এক শর্ত হবু শ্বশুরমশাইকে দিয়েছিলেন নীতা। তিনি অকপটে বলেছিলেন বিয়ের পরেও তিনি যে স্কুলে আগে পড়াচ্ছিলেন সেখানেই পড়াবেন। যদিও এই প্রস্তাবে তেমন রাজি ছিলেন না ধীরুভাই। আম্বানি বাড়ির বউ বিয়ের পরেও অন্যত্র কাজ করবে এটা ধীরুভাই এবং তার স্ত্রী ভালোভাবে নেননি।
তবে তাই বলে মুকেশ এবং নীতার বিয়েটা আটকায়নি। নীতার এই শর্তের আলাদাভাবে সমাধান বের করেছিলেন ধীরুভাই। আসলে নীতা বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে খুবই পছন্দ করতেন। বাচ্চাদের পড়ানোর শখ ছিল তার। আম্বানি পরিবারের বউ হওয়ার জন্য তিনি তার ওই সামান্য বেতনের চাকরিটা ছাড়তে চাননি।
আরও পড়ুন : বাবার মত ভুল করতে চান না, সম্পত্তির বাটোয়ারা নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন মুকেশ আম্বানি
১৯৮৫ সালে নীতা এবং মুকেশের বিয়ে হয়। পরে ধীরুভাই আম্বানির নামে মুম্বাইতে একটি স্কুলের প্রতিষ্ঠা করে আম্বানিরা। সেই স্কুলের নাম ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এই স্কুলে পড়াশোনা করেন সেলিব্রিটিদের সন্তানরা। স্কুলটি শুরু হওয়ার মুহূর্ত থেকেই সামলাচ্ছেন নীতা আম্বানি। আজ তার নিজের দায়িত্বেই রয়েছে আস্ত একটি স্কুল।
আরও পড়ুন : IPL ২০২৩ থেকে কত কোটি এল মুকেশ-নীতার ঘরে? টাকার অংক মাথা ঘুরিয়ে দেবে