‘এক হিরো আলমকে চুপ করালে হাজার হিরো আলম জাগবে’, আলমের অধিকার ছিনিয়ে বিপাকে বুদ্ধিজীবীরা

হিরো আলম (Hero Alom), নামটার সঙ্গে বাঙালি খুব ভালোভাবেই পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের (Bangladesh) ভাইরাল গায়ক হতে পারেন, তবে পশ্চিমবঙ্গও তাকে এক ডাকে চেনে। সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ তার অনুরাগী কেউ বিরাগী, তবে ফ্যান হোক বা হেটার্স, সকলেই হিরো আলমকে ভাইরাল করে তুলতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তাই করেছেন। সেই হিরো আলমকে গান না গাওয়ার মুচলেকা দিতে হল। এটা মেনে নিতে পারছেন না তার হেটার্সরাও।

বুধবার ডিবির কাছে মুচলেখা দিতে হয়েছে হিরো আলমকে। সেখানে তিনি স্পষ্ট লিখেছেন রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং নজরুল গীতি তিনি আর কখনও গাইবেন না। হিরো আলমের গান মানেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তা মজার বস্তু। তবে রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের মত বিশিষ্ট জনের গান গেয়ে হিরো আলম বাঙালি সংস্কৃতির অপমান করুন এমনটা চান না বুদ্ধিজীবীরা।

HERO ALOM

এমনই এক পরিস্থিতিতে হিরো আলমকে দিয়ে মুচলেখা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে হিরো আলমের পক্ষে সুর তুলতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। এই নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক, কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার এবং সুরকার লুৎফর হাসান। তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে হিরো আলমের সমর্থনকারী না হলেও গায়কের অধিকার নিয়ে মুখ খুলেছেন।

হিরো আলমের ঘটনায় রীতিমতো মর্মাহত হয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘‘এক হিরো আলম চুপ হলেও হাজার হিরো আলম জেগে উঠবেন”। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ আর রাজিও বলেছেন, “যতক্ষণ তুমি লড়াই করো ততক্ষণ তুমি আমার হিরো”। বুদ্ধিজীবীরা বলছেন আইনের চোখে অপরাধ করলে হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে পুলিশ। কিন্তু কোন অপরাধে তাকে গান গাইতে বারণ করা হচ্ছে?

এমনকি এই বিষয়ে হিরো আলমের হেটার্সরাও তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন। হিরো আলম গানের বিকৃতি ঘটান। এক সময় যারা বলতেন হিরো আলম সংস্কৃতিকে কলুষিত করছেন, তারাও এখন একজন মানুষ হিসেবে হিরো আলমের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাদের দাবি, কে কোন গান বা ভিডিও শুনবেন কিংবা শুনবেন না সেটা প্রত্যেকের নিজস্ব রুচি। তবে এটা নিয়ে হিরো আলমকে মুচলেখা দিতে হবে কেন?

হিরো আলমের পক্ষে সওয়াল করে তারা এও বলছেন, দেশে অনেক বড় পর্যায়ের তথাকথিত তারকা রয়েছেন, তারা নোংরা এবং সস্তা কন্টেন্ট দিয়ে বাজার ছয়লাপ করছেন। এবার তাহলে তাদের ঠেকানোর প্রক্রিয়াও শুরু হোক!