অ্যান্টিলিয়া (Antilia), ইংল্যান্ডের বাকিংহাম রাজপ্রাসাদের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় সবথেকে দামি বাড়ি। যে বাড়ির মালিক ভারত শ্রেষ্ঠ ধনকুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। স্ত্রী, দুই পুত্র, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনী এবং অসংখ্য হাউস হেল্পার নিয়ে রাজার হালে এই বাড়িতে থাকেন মুকেশ আম্বানি। যে বাড়ি পৃথিবীর দামি বাড়িগুলোর মধ্যে একটি, তার বিদ্যুৎ বিলের খরচ (Antilia Electricity Bill) কত জানেন? টাকার অঙ্কটা মাথা ঘুরিয়ে দেবে।
বর্তমানে শুধু ভারত নয়, গোটা এশিয়ার মধ্যে শিল্পপতিদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। গোটা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তার রিলায়েন্সের সাম্রাজ্য। প্রায় ৮ লক্ষ কোটি টাকার মালিক তিনি। তার অ্যান্টিলিয়া বাড়ির দাম বর্তমান বাজারে প্রায় ১,৫০০০ কোটি টাকা। যেখানে কাজ করেন ৬০০ কর্মচারী।
২৭ তলার অ্যান্টিলিয়াতে তিনটি হেলিপ্যাড, স্পা, বলরুম, টেরেস গার্ডেন থেকে শুরু করে ৪০ টি আসন বিশিষ্ট থিয়েটার, আইসক্রিম পার্লার, ৬ তলার গোটা একটি ফ্লোর জুড়ে শুধু গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা রয়েছে। এই বাড়িতে ৫০ টি ঘর রয়েছে। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় আলোয় আলোয় সেজে ওঠে গোটা অ্যান্টিলিয়ার অন্দরমহল এবং বাইরেটা।
অ্যান্টিলিয়ার মধ্যে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। নীতা আম্বানির বাথরুমে নাকি উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন এমন ব্যবস্থা রয়েছে যে সেখানে তিনি বাথরুমের অন্দরমহলের আবহাওয়া, দেওয়াল ও মেঝের দৃশ্য নিজের পছন্দমত পরিবর্তন করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই এত সুযোগ-সুবিধার পেছনে ইলেকট্রিক কিছু কম খরচ হয় না।
প্রত্যেক মাসে অ্যান্টিলিয়াতে ৬৩৭.২৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রতি মাসে আম্বানিদের ৭০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। টাকার অঙ্কটা অনেক মধ্যবিত্ত মানুষের সারা জীবনের সঞ্চয়ের থেকেও বেশি। এই পরিমাণ টাকা কেবল এক মাসের বিদ্যুৎ বিলের পেছনে খরচ করেন আম্বানি। যদিও তার উপার্জনের কাছে টাকার এই অঙ্কটা নস্যি।
আরও পড়ুন : বিশ্বের সবথেকে দামী কোন ৫ টি জিনিস নীতা আম্বানিকে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি?
আরও পড়ুন : ১৫০০০ কোটির অ্যান্টিলিয়া সাজিয়েছেন এই বলিউড তারকার স্ত্রী, তিনি কে জানেন?
২০০২ সালে এক মুসলিম সংস্থার থেকে মুকেশ আম্বানি বাড়ি তৈরি করার জন্য জমি কিনেছিলেন। তখন তার খরচ হয়েছিল ৪.৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় সেই সময় ৩৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল মুকেশ আম্বানির। এরপর তিনি সেই জমির উপর অ্যান্টিলিয়া গড়ে তোলেন নিজের মনের মত করে। বাড়িটি বানাতে সময় লেগেছিল ৮ বছর। অ্যান্টিলিয়াতে আসার আগে আম্বানিরা বসবাস করতেন সিউইন্ডের কোলাবা অ্যাপার্টমেন্টে।