নিজের জীবন লতাজিকে উৎসর্গ করেছেন এই ব্যক্তি, বাড়িতেই বানিয়েছেন লতার মন্দির

লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) এবং তার গানই ছিল এতদিনের বেঁচে থাকার রসদ! তিল তিল করে সঞ্চয় করেছেন লতা মঙ্গেশকরের বিভিন্ন ছবি এবং তার স্মৃতিটুকু আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য নিজের বাড়িতেই সাজিয়ে রেখেছেন বিভিন্ন ছোটখাটো সামগ্রী। হাওড়ার একজন বাসিন্দা যেমন লতা মঙ্গেশকরকে নিজের ‘মানস মা’ মেনে যত্ন সহকারে তার শ্রাদ্ধশান্তি করেছেন, মিরাটের এই বাসিন্দা তার গোটা জীবনটাই উৎসর্গ করেছেন সংগীতের সরস্বতীকে।

মিরাটের বাসিন্দা গৌরব শর্মা। পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। তিনি তার সম্পূর্ণ জীবন উৎসর্গ করেছেন লতা মঙ্গেশকরকেই। গোটা বাড়ি লতাজির ছবি থেকে শুরু করে গানের অ্যালবামে ঠাসা। তিনি তার সারা জীবন ধরে সঞ্চয় করেছে লতাজির বিভিন্ন স্মৃতি। সেই দিয়েই সযত্নে সাজিয়ে নিয়েছেন নিজের বাড়িটি। গত ৩০ বছর ধরে তিনি এগুলিকে সংগ্রহ করেছেন।

এই ব্যক্তি লতাজির জন্য বিয়ে পর্যন্ত করেননি! লতা মঙ্গেশকরকে তিনি দেবীর মত পুজো করেন। তার সংগ্রহে এমন বেশ কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলি দুর্লভ। যেমন তার কাছে রয়েছে ১৯২৯ সালের কয়েন। উল্লেখ্য, এই বছরই জন্মগ্রহণ করেছিলেন লতা। গৌরববাবু লতার জন্মসালের স্মৃতি হিসেবে সেই কয়েন সংরক্ষণ করছেন। তাছাড়া লতার অনেক ছবি এবং গানের অ্যালবাম, ক্যাসেট তার সংগ্রহে রয়েছে। বলতে গেলে তিনি বাড়িতেই একটি ছোটখাটো মিউজিয়াম বানিয়ে ফেলেছেন লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে।

তার বাড়িতে ছোট-বড় মিলিয়ে লতা মঙ্গেশকরের ১০০টিরও বেশি ছবি রয়েছে। তার নিজের ঘরের দেওয়ালে লতা মঙ্গেশকরের বিশাল ফ্রেমে বাঁধানো ছবি টাঙানো আছে। লতা মঙ্গেশকর সারা বিশ্বের গর্ব। তিনি দেশি-বিদেশি ৩৬টি ভাষায় ৩০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। তাকে নিয়ে অজস্র বই লেখা হয়েছে। পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ান লেখকরা বহু লেখা লিখেছেন ভারতীয় নাইটিঙ্গেলকে নিয়ে। লতাজিকে নিয়ে লেখা প্রত্যেকটি বই রয়েছে তার সংগ্রহে।

তিনি তার জীবন লতা মঙ্গেশকরকে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাই তিনি আজীবন বিয়ে করেননি। জীবনে বহুবার তিনি তার আরাধ্যার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছেন। তবে তার সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পাননি। সেই অবশ্য বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই তার মনে। লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার অন্যান্য ভক্তদের মতো তিনিও কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তিনি তার এই বাড়িটিকে লতা মিউজিয়াম ঘোষণা করতে চান। তাই তিনি সরকারের কাছে সেই মর্মে আবেদন জানিয়েছেন।