‘হর হর শম্ভু’ গেয়ে ভাইরাল এই মেয়ে আসলে কে, রইল তার আসল পরিচয়

‘হর হর শম্ভু… শম্ভু… শিব মহাদেব.. শম্ভু… শম্ভু’, (Har Har Sambhu) ধুতিকে শাড়ির মতো করে পরে, কালো টি শার্ট এবং কপালে টিকা লাগিয়ে স্টুডিওতে গান গাইছে একটি মেয়ে। এই মেয়ে তেমন চেনা কোনও শিল্পী নয়। তবে এই গানটাই আজ তার সব থেকে বড় পরিচিতি হয়ে উঠেছে। গানে গানে এই মেয়েটিকে আজ চিনে নিতে চাইছেন গোটা দেশের মানুষ। বিশেষত শিব ভক্তদের কাছে সে তো হয়ে উঠেছে দারুণ প্রিয়।

এই জনপ্রিয় গায়িকার নাম অভিলিপ্সা পান্ডা (Abhilipsa Panda)। বয়স তার মাত্র ২১ বছর। এতটুকু মেয়ের কন্ঠে ভক্তিমূলক শিবের গান শুনে ছোট বড় সকলেই রীতিমতো যেন ডুবে গিয়েছেন শিবভক্তিতে। জিতু শর্মার সঙ্গে ডুয়েট গান গেয়ে এই মেয়ে আজ রাজত্ব করছে ইউটিউবের ট্রেন্ডের দুনিয়াতে। তার অসাধারণ কণ্ঠ পৌঁছে গিয়েছে দেশের কোনায় কোনায়।

এই মেয়েটি ওড়িশার কেওনঝড়ের বারবিলের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মেছিল ২০০১ সালে। তার বাবা অশোক পান্ডা ভারতীয় সেনার প্রাক্তন কর্মী। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। অভিলিপ্সারা দুই বোন। তাদের মা পুষ্পশ্রী পেশায় একজন শিক্ষিকা। গায়ক হিসেবে তার ঠাকুরদার বেশ পরিচিতি রয়েছে ওই এলাকাতে।

ছোটতে ঠাকুরদার কাছে তালিম নিয়েই অভিলিপ্সার সংগীতের যাত্রা শুরু হয়। ৪ বছর বয়সেই ওড়িশি ধ্রুপদী সংগীত শিখতে শুরু করে সে। ১৭ বছর বয়সে সে ওড়িশার একটি গানের রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়েছিল সে। তখনও তার একটি গান ভাইরাল হয়েছিল। এরপরই এসে ‘হর হর শম্ভু’ গান গাওয়ার জন্য প্রস্তাব পায়। এই গান তার জন্য মাইলস্টোন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে গানটি রেকর্ড করেছিলেন অভিলিপ্সা। সেই গান যে এত কমদিনে এত জনপ্রিয় হবে তা আশা করেননি গায়িকা। তার কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম খুব একটা সাড়া পাব না। কিন্তু এই গান এখন বাচ্চা-বুড়ো সকলের মুখে মুখে। ভালই লাগছে।’’ উল্লেখ্য, ১০ বছর বয়সেই কিন্তু স্টুডিওতে প্রথম গান রেকর্ড করেছিলেন তিনি। তবে তার গাওয়া এই গান বাকি সব গানকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

ইংরেজি, বাংলা, অসমীয়া, মারাঠি, মারওয়ারি, গুজরাটি, তামিলসহ ৮টি ভাষাতে গান গাইতে পারেন অভিলিপ্সা। গানের পাশাপাশি তিনি ক্যারাটেও জানেন। ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনার প্রতিও তার বেশ আগ্রহ রয়েছে। তিনি সামুদ্রিক জীবের বিষয়ে গবেষণা করে সমুদ্রবিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। সেই সঙ্গে গানের মাধ্যমে শ্রোতাদের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার ভাব সঞ্চারণ করতে চান। একটি সাক্ষাৎকারে নিজের সম্পর্কে এমনটাই জানিয়েছিলেন ‘হর হর শম্ভু’ গায়িকা।