এই একটি কারনেই জনপ্রিয় হল কাঁচা বাদাম গান, উত্তর দিলেন মনোময় ভট্টাচার্য

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সমস্ত ট্রেন্ডিং, ভাইরাল, নামিদামি শিল্পীদের গাওয়া গানকে ছাপিয়ে জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে নিয়ে ছিল বীরভূমের দুবরাজপুরের এক সাধারণ বাদাম বিক্রেতা ফেরিওয়ালার ‘কাঁচা বাদাম’ (Kacha Badam) গান। অতি সাধারণ সুর এবং কথার জাদুতে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় ‘কাঁচা বাদাম’। সারা পৃথিবীর কাছে বাদাম কাকুর (Badam Kaku) খ্যাতি পৌঁছে যায় রাতারাতি।

‘কাঁচা বাদাম’ গান গাওয়ার সুবাদে ভুবন বাদ্যকর আজ রীতিমতো সেলিব্রিটি। দীর্ঘ কয়েক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও ট্রেন্ডে রয়েছেন তিনি। কাঁচা বাদাম এবং ভুবন বাদ্যকরের (Bhuban Badyakar) গানের এত জনপ্রিয়তা নেপথ্যে রহস্য কি? এই সময় ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে মুখ খুললেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য (Monomoy Bhattacharya)।

kancha badam

মনোময় ভট্টাচার্য মনে করেন বর্তমান কসমোপলিটান সময়কালই ‘বাদাম কাকু’দের মতো শিল্পীদের ভাইরাল হওয়ার নেপথ্যে কারণ। গায়কের কথায়, “এটা কসমোপলিটনের সময়। এই সব গানই এখন ভাইরাল হচ্ছে। এই সময় মানুষ যা পাচ্ছে, ইন্টারনেটে যা আসছে তাই শুনছে।” তবে মানুষ তাঁর গানও শুনছেন। মনোময় আরও বলেছেন, “ভুবনের গানও এখন মানুষ শুনছে, আমার গানও শুনছে। যারা থাকার তারা থেকে যায়। যারা হারিয়ে যাওয়ার তারা হারিয়ে যাচ্ছে।”

যদিও বর্তমান সময়কালে নামিদামি সঙ্গীতশিল্পীদের ছেড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিংবা পূজামণ্ডপে বাদাম কাকুদের মত শিল্পীদের দাপট দেখিয়ে বাঙালি সংগীতশিল্পীরা বেজায় হতাশ। তবে মনোময় ভালো খারাপের বিবেচনার দিকটা শ্রোতাদের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। তার কথায়, “আগে বলতাম, গান জনপ্রিয় হয়েছে। আগে রেডিও, রেকর্ড প্লেয়ারে গান ভাইরাল হত। এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু মুশকিল হল, একটা গান জনপ্রিয় হল। তারপর scroll করতে না করতে আরেকটা গান চলে আসে। ফলে ভাল-মন্দ বিচার করা কঠিন হয়ে যায়। সাধারণ মানুষকেই বেছে নিতে হবে, কোনটা সঠিক আর কোনটা বেঠিক।”

ভুবন বাদ্যকরদের মতো শিল্পীরা রাতারাতি জনপ্রিয় হলেও তাদের সঙ্গে রয়েছে বাঙালি। তবে বাংলা সংস্কৃতির পাশে থাকবেন সাধারণমানুষ। ভুবন বাদ্যকরের গান মুহূর্তের জন্য দেখেন, শোনেন নেটিজেনরা। আবার অন্য কিছু চলে আসবে। এমনটাই মনে করেন মনোময় ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য ভুবন বাদ্যকরের আগেও এমন ভাইরাল শিল্পীদের খোঁজ মিলেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে পরবর্তী দিনে তারা কোথায় তলিয়ে গিয়েছেন খোঁজ রাখেনি কেউ। তাই সকল উঠতি শিল্পীদের প্রতি গায়কের পরামর্শ, যারা শিল্পী হিসাবে উঠে আসছে তাদের প্রতি আমার পরামর্শ, “অন্তত ১০-১২ বছর অনুশীলন করা দরকার। গানকে ভালবাসার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করতে হবে। তবেই বাংলা গান টিকবে।”