ক্যান্সার আক্রান্ত মনীষার পাশে ছিল না কেউ! কঠিন দুঃসময় গিয়েছে মনীষা কৈরালার জীবনে

মনীষা কৈরালা, ‘হীরামান্ডি’ ওয়েব সিরিজের কারণে আবারও চর্চার বিষয়বস্তু হলেন বলিউডের একসময়ের এই সুপারস্টার অভিনেত্রী। একটা সময় ছিল যখন মনীষা কৈরালার রূপ এবং অভিনয়ের কারণে তিনি বলিউডের সেরা নায়িকাদের মধ্যে একজন ছিলেন। কিন্তু তার জীবনে এমন এক খারাপ পরিস্থিতি আসে যখন তার পাশে কেউ ছিল না। সেই প্রসঙ্গেই সম্প্রতি মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

২০১২ সালে মনীষা কৈরালার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। তারপর থেকে তার জীবনের কঠিন লড়াই শুরু হয়। তিনি নিউইয়র্কে চলে যান। দীর্ঘদিন সেখানেই তার চিকিৎসা চলে। এই সময়েই শারীরিক অবনতির পাশাপাশি মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কারণ যে সময় তার পাশে কারও থাকার কথা ছিল তখন সবাই তার থেকে দূরে চলে যায়।

Manisha Koirala

মনীষার ক্যান্সার হয়েছে জানার পর তার কাছের বন্ধুরা তার সঙ্গে আর যোগাযোগই রাখতেন না। একমাত্র তার পরিবারের সদস্যরা তার কাছে ছিলেন। এই সময় তিনি মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। তাকে সাইক্রিয়াটিস্টের কাছেও যেতে হয়। তাদের জীবনের ওই পর্যায় তাকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে। যারা তার সত্যিই আপন তাদের তিনি চিনতে পেরেছিলেন।

মনীষা বলেন, “আমি আগে ভাবতাম, আমার বহু বন্ধুবান্ধব আছে। একসঙ্গে পার্টি করা, ঘুরে বেড়ানো, মজা করার বন্ধুরা আমার যন্ত্রণার দিনেও পাশে থাকবে ভেবেছিলাম! কিন্তু কোথায় কী!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার সেই সময়ে নিজেকে খুব একা লাগত। বুঝতে পারলাম, শুধু আমার পরিবারই আমার সঙ্গে রয়েছে। আমার একটা বড় ‘কৈরালা’ বংশ রয়েছে। কেউ ছিল না পাশে।”

Manisha Koirala

মনীষার কথায়, “আমার একটা বড় পরিবার আছে। তারা সবাই যথেষ্ট সচ্ছল। চাইলেই কেউ না কেউ আসতে পারত। শুধু আমার বাবা-মা, আমার ভাই ও ভাইয়ের বৌ আমার সঙ্গে ছিল। আর কেউ না। তখন বুঝলাম, সবাই আমায় ছেড়ে চলে গেলেও, এই মানুষগুলি আমার সঙ্গে থাকবে। ওরাই আমার কাছে তাই অগ্রাধিকার পায়।’’

আরও পড়ুন : মিস ইন্ডিয়া থেকে এখন সন্ন্যাসী! ভিক্ষা করে দিন কাটছে এই বলিউড নায়িকার

Manisha Koirala

আরও পড়ুন : অপবাদ মাথায় নিয়ে ছেড়েছেন বলিউড, পাপের ফল ভোগ করছেন এই বলিউড তারকারা

ক্যান্সার শরীরের পাশাপাশি মানসিকভাবে মনীষাকে দুর্বল করে দিয়েছে। তিনি এখন আর আগের মত কাজ করতে পারেন না। অস্বস্তি হয় তার। এমনকি ‘হীরা মান্ডি’ ওয়েব সিরিজের শুটিং করতে গিয়েও তিনি বহুবার মেজাজ হারিয়েছেন। শারীরিক অবস্থা মনের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে তা তিনি ক্যান্সার হওয়ার পর বুঝতে পারেন।