Leena Ganguly Jagaddhatri Fame Actress Ankita Mallick Opens Up About The Situation Of Bengali Mega Serials : স্টার জলসা (Star Jalsha) জি বাংলা (Zee Bangla) মতো চ্যানেলগুলিতে একের পর এক নতুন ধারাবাহিক শুরু হচ্ছে। কিন্তু সেই একইভাবে পাল্লা দিয়ে কিছু ধারাবাহিক খুব কম সময়ের মধ্যে দিয়ে শেষও হয়ে যাচ্ছে। অনেকের মতে টিআরপির কারণে এই সমস্ত ধারাবাহিক গুলি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে এর পরিপেক্ষিতে টিআরপিকে নয় নন ফিকশন শো-কে দায়ী করলেন বাংলা ধারাবাহিকের অন্যতম পরিচালক লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly) ।
কোনও সিরিয়াল চলেছে মাত্র ৩ মাস, কোনোটি আবার ৮ মাস! শুনতে অবাক লাগলেও, বাংলা ধারবাহিকের আয়ু এখন এতটাই কমে এসেছে। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, টিআরপির জন্যই মূলত এই অবস্থা। তবে টিআরপিই কি একমাত্র কারণ? একটু খতিয়ে দেখলেই জানা যাচ্ছে, গত কয়েকমাসে সিরিয়ালের সংখ্যাও প্রচুর কমেছে। হঠাৎ কেন এমন অবস্থা?
আজ থেকে কয়েকমাস আগেও সব বাংলা বিনোদনমূলক চ্যানেল মিলিয়ে প্রায় ৫০টির কাছাকাছি সিরিয়াল সম্প্রচারিত হতো। এখন সেই সংখ্যাটা প্রায় ৪০-এ এসে দাঁড়িয়েছে। তাহলে কি আস্তে আস্তে দর্শকরা বাংলা ধারাবাহিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন? আর এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন প্রযোজক-পরিচালক-লেখক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
জনপ্রিয় ধারাবাহিক লেখিকা লীনা গাঙ্গুলী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রথমত, আমার কোনও ধারণা ছিল না যে ধারাবাহিকের সংখ্যা এতটা কমেছে। তবে ফিকশনের বদলে অনেক জায়গায় নন ফিকশন শো এসেছে। এবার যে চ্যানেলগুলিতে যখন রিয়্যালিটি শো দেখানো হচ্ছে, তখন অন্য চ্যানেলে সিরিয়াল দেখানো হলে কিছু তফাৎ তো থাকবেই। কারণ অনেক মানুষেরই নন ফিকশন শোয়ের প্রতি আগ্রহ থাকে। এটা কি সেটার জন্যই হচ্ছে? আমারও প্রশ্ন।’
তবে শুধু লীনা গাঙ্গুলি নয় এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন জি বাংলার ক্লাস্টার বিজ়নেস হেড সম্রাট ঘোষ। তিনি বললেন, “আমাদের প্রাইম টাইম শো কিন্তু একই আছে। সপ্তাহে সাত দিনই সিরিয়াল সম্প্রচারিত হয়। সপ্তাহান্তে নন ফিকশন শো হয়। সে সময় একটু এ দিক-ও দিক করে চালানো হয় সিরিয়াল। করোনা পরিস্থিতির সময় শুটিং বন্ধ ছিল। তাই সিরিয়ালের সংখ্যাও একটু কমেছিল। তবে এখন আবার পুরনো পরিস্থিতি ফিরে এসেছে।”
আরও পড়ুন : শুভমন গিলের বোন বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী? পরিচয় জেনে অবাক নেটপাড়া
আরও পড়ুন : রাঘব-পরিণীতির বিয়েতে কি আসবেন না নিক-প্রিয়াঙ্কা? ফাঁস হল বড় খবর
পরিচালক সুশান্ত দাস আবার বলেন, ‘যদি সত্যিই এমন পরিস্থিতি হয়, তাহলে আমাদের গল্প বলার ধরণ নিয়ে ভাবতে হবে’। খানিকটা একই সুর শোনা যায় ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri) নায়িকা অঙ্কিতা মল্লিক (Ankita Mallick) -র গলাতেও। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার কেরিয়ারের বয়স সবেমাত্র ১ বছর। আমি এমন কিছু লক্ষ্য করিনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে টিআরপির ওঠাপড়া হয় এটা ঠিক। কিন্তু সেই কারণে সিরিয়াল কমে যাচ্ছে এমনটা না। তবে নতুন ধরণের গল্প যদি না আসে তাহলে দর্শকরা আগ্রহ হারাবেন একথা কিন্তু ঠিক’।