বাসন মাজতেন, বাথরুম পরিষ্কার করতেন! ইচ্ছে পুতুলের জিষ্ণু্র বাস্তব জীবন সিনেমা থেকে কম নয়

“কলকাতায় এসে বাথরুম পরিষ্কার করেছি”, ইচ্ছে পুতুলের জিষ্ণু্র স্ট্রাগল শুনলে চোখে আসবে জল

দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One) এমন একটি মঞ্চ, যেখানে প্রায়শই হাজির হতে দেখা যায় কোনও না কোনও সেলিব্রেটিকে। এই মঞ্চে এসে নিজেদের জীবনের নানান অজানা কথা তারা শেয়ার করে থাকেন। এবার দিদি নাম্বার ওয়ান – এর মঞ্চে এসে রচনাকে নিজের জীবনের কঠিন সময়ের কথা শেয়ার করলেন ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) ধারাবাহিকের জিষ্ণু ওরফে শমীক চক্রবর্তী (Shamik Chakraborty)।

দিদি নাম্বার ওয়ানে এসেছিলেন জিষ্ণু ওরফে শমীক চক্রবর্তী

সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানে হাজির হয়েছিলেন বাংলা টেলি জগতের তিন জনপ্রিয় অভিনেতা। হাজির হয়েছিলেন অনুপম কাঞ্জিলাল, শমীক চক্রবর্তী এবং সপ্তর্ষি রায়। অভিনেতারা এসেছিলেন তাদের মায়ের সঙ্গে। ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর মঞ্চে প্রত্যেকেই ভাগ করে নিয়েছেন নিজের জীবনের সুখ দুঃখের গল্প। তবে আজ এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো ইচ্ছে পুতুলের জিষ্ণুর স্ট্রাগলের কাহিনী।

Shamik Chakraborty

কী বললেন পর্দার জিষ্ণুর মা?

রচনার সাথে গল্প করতে গিয়ে অভিনেতার মা সোনালী চক্রবর্তী জানান, তিনি থাকেন কৃষ্ণনগরে, ছেলে থাকে কলকাতায়। মাঝে মাঝেই তিনি ছেলের কাছে কলকাতায় চলে আসেন। বাকি সময়টা থাকেন কৃষ্ণনগরে। এর মাঝেই অভিনেতা বলেন, তার ক্যারিয়ার গড়ে ওঠার পেছনে সবথেকে বেশি অবদান রয়েছে তার মায়ের।

কী বললেন শমীক?

অভিনেতা বলেন, “আমি তো কৃষ্ণনগরের ছেলে। প্রথমে যখন কলকাতায় আসি তখন জানতাম না কীভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকবো। কোথায় অডিশন দিতে হয় তাও জানতাম না। কলকাতার ছোট্ট একটা রুমে থাকতাম খুব কষ্ট করে। কিন্তু হার মানিনি, কারণ আমি জানতাম কষ্ট করে নিজের পায়ে দাঁড়াতেই এসেছি আমি। সে সময় একাই সব কাজ করতাম। রান্না করা থেকে বাসন মাজা এমনকি বাথরুম পরিষ্কারও করতাম নিজেই।”

Shamik Chakraborty

শমীক বলেন, “মা সবই জানতেন, কিন্তু বাবাকে কিছু বলেননি। বাবা এসবের বিরোধী ছিল। বাবা আমার ক্যারিয়ারের বিরোধী ছিলেন বলে আমার কোনদিন খোঁজ নেননি। বহুদিন বাবার সঙ্গে কথা বন্ধ ছিল আমার। এদিকে যখন আমার হাত ফাঁকা হয়ে যেত তখন মা-ই আমার ঘরের ভাড়া দিয়ে দিত। এরপর ধীরে ধীরে মডেলিং শুরু করে নিজের ঘর ভাড়া নিজেই দিতে শুরু করলাম।”

আরও পড়ুন : ‘ইচ্ছেপুতুল’ সিরিয়ালের নায়িকা মেঘ আসলে কে? রইল অভিনেত্রীর আসল পরিচয়

অভিনেতা বলেন, “বাবা যখন কলকাতা এসে আমার ছোট্ট ফ্ল্যাট দেখলেন, তখন বললেন, এই তুই এই ফ্ল্যাটে থাকিস কি করে? এটা তো একটা পাখির খাঁচা। আমি বললাম, কী করব যা ইনকাম এই ফ্ল্যাটেই থাকতে হয়। তখন বাবা আমাকে একটা ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন। এখন আমি ভীষণ খুশি কারণ আমার পাশে আমার বাবা-মা দুজনেই রয়েছেন।”

Shamik Chakraborty

আরও পড়ুন : ‘টাকা আর শোওয়া’ ছাড়া কাজ মেলে না! বাংলা সিরিয়ালের সব সিক্রেট ফাঁস করলেন ‘ইচ্ছে পুতুলে’র জিষ্ণু

প্রসঙ্গত, ফলাফলের চিন্তা না করে তিনি পরিশ্রমেই বিশ্বাসী। বাবা মার দায়িত্ব নিতে চান তিনি। পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তিনি তাই এখন শুধু নিজের কাজেই ফোকাস রাখতে চান। আপাতত জি বাংলার ‘ইচ্ছে পুতুল’ ধারাবাহিক এবং স্টার জলসার ‘সন্ধ্যা তারা’ ধারাবাহিকে কাজ করছেন অভিনেতা। একসঙ্গে দুটি চ্যানেলেই কাজ করছেন শমীক।