ঠিক কি কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন কেকে, বিস্ফোরক তথ্য দিলেন চিকিৎসক

কলকাতায় লাইভ পারফরম্যান্স করতে এসেছিলেন বলিউডের প্রখ্যাত গায়ক কেকে (KK)। অনুষ্ঠান চলাকালীনই প্রবল শারীরিক সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাকে। প্রবল গরমে রীতিমতো হাঁসফাঁস দশা ছিল কলকাতায় নজরুল মঞ্চে। তার উপর আবার কেকে-কে কাছ থেকে এক নজর দেখতে, তার গান শোনার জন্য অনুষ্ঠানের হলে উপচে পড়েছিল ভিড়। প্রচন্ড গরম, প্রবল ভিড়, তার উপর আবার বন্ধ এসি! এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একের পর এক গানে পারফর্ম করে গিয়েছেন তিনি।

জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত তিনি ভক্তদের জন্য উৎসর্গ করে গেলেন। তবে কলকাতার ওই অনুষ্ঠান মঞ্চের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব যারা নিয়েছিলেন তাদের কাছ থেকে কি এটাই ছিল তার প্রাপ্য? ম্যানেজমেন্টের চূড়ান্ত বেহাল দশার জন্য একপ্রকার বলিই হতে হল‌ প্রখ্যাত গায়ককে। নজরুল মঞ্চের এসি ছিল বন্ধ। তার উপর হলের মধ্যে পাঁচগুণ বেশি দর্শককে ঢোকানো হয়েছিল। প্রচণ্ড গরমে আর থাকতে না পেরে চড়া আলো বন্ধ করে দেওয়ার কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন কেকে। বারবার জল খাচ্ছিলেন, ঘাম মুছছিলেন শরীরের।

কেকের শরীরে এদিন হৃদরোগের সব লক্ষণ ছিল। অনুষ্ঠানের শেষে হোটেলে ফিরতেই সংজ্ঞা হারান তিনি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে। হৃদরোগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল ২ ঘন্টা আগেই! একজন প্রখ্যাত গায়ককে মুম্বাই থেকে কলকাতায় ডেকে আনার পর তার দেখভালে এতটা গাফিলতি? সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠছে ধিক্কার রব। এবার কেকের মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কলকাতার প্রখ্যাত চিকিৎসক কুনাল সরকার।

কুনাল সরকার ফেসবুকে একটি পোস্ট করে লিখেছেন কেকের মৃত্যু যতটা দুঃখের, ঠিক ততটাই লজ্জার। মৃত্যুর কারণ হিসেবে বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন তিনি। বেসামাল ভিড়, এসি বন্ধের কারণে অস্বাভাবিক গরম, মুখের উপর সমানে ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্প্রে করা, দু ঘন্টার উপরে সময় নষ্ট করে তারপরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, এই ছিল কেকের অসুস্থতার কারণ। শেষে তিনি প্রয়াত গায়কের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘আমাদের ক্ষমা কর’।

কেকে-কে লাইভ পারফরম্যান্সের জন্য ডেকে এনে কেন তাকে এত কষ্ট দেওয়া হল? কেন তার স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নূন্যতম আয়োজনটুকু রাখা হল না? প্রশ্ন তুলছেন ভক্তরা। কেকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এসএসকেএম কিংবা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলেও তিনি হয়তো প্রাণে বাঁচতে পারতেন। এমনটাই মনে করছেন নেটিজেনদের একাংশ।