৮০ বছরের দীপঙ্করের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক কেমন? বেডরুম সিক্রেট ফাঁস করলেন দোলন রায়

দীপঙ্করের বড় মেয়ের বয়স স্ত্রী দোলন রায়ের থেকেও বেশি। বুঝতেই পারছেন, এই সম্পর্কে বয়সের ব্যবধানটা ঠিক কতটা। এতকিছুর পরেও কিন্তু একে অপরের সঙ্গে ভীষণ সুখী দীপঙ্কর দে (Deepankar De) এবং দোলন রায় (Dolon Roy)। তবে এই মনের বোঝাপড়ার কথা তো সকলেই জানেন, কিন্তু শারীরিক সম্পর্কও কি এখনও ভাল? সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের সামনে খোলামেলা কথা বললেন অভিনেত্রী দোলন রায়।

দুজনের বয়সের ফারাক ২৬ বছর

১৯৯৭ সাল থেকেই একে অপরকে চেনেন তারা। সমাজের সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে পিছনে ফেলে দিয়ে ২০২০ সালে একে অপরকে বিয়ে করেন এই দম্পতি। একদিকে বর্ষিয়ান অভিনেতার বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই তো অন্যদিকে দোলন সদ্য ৫০ বছরে পদার্পণ করেছেন। বয়সের এই বিস্তর ফারাক কি কোনও ভাবে দাম্পত্য জীবনের ওপর প্রভাব ফেলে? শারীরিক সম্পর্কের দিক থেকে কেমিস্ট্রি কি এখনও রয়েছে আগের মত?

Deepankar De And Dolon Roy

দীপঙ্করের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে অকপট দোলন

সম্প্রতি নিবেদিতা অনলাইন নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দোলন রায় বলেন, “একটা সময় পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। তারপর যা হয়, মেয়েরাই সব সময় কম্প্রোমাইজ করে। না হলে তো একটি অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে যাবে। ও তো আমার জীবনে প্রায় প্রথমই। আমি স্যাচুরেটেড হয়ে গিয়েছি। ও হয়তো শেষ বয়সে, ওর পারা আর না পারা নিয়ে স্যাচুরেটেড হয়ে গিয়েছে।”

দোলনের সংযোজন, “মানুষটার ভালোবাসা এত বেশি, আমার ভালো লাগা খারাপ লাগার দিকে এত খেয়াল রাখে যে তখন এগুলো আর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। ওকে কখনও এগুলো অনুভব করতে দিইনি। ও বুঝলে কি সম্পর্কটা ঠিক থাকত? মেয়েদের জীবনের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ শব্দটা এইভাবেই ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে থাকে।”

আরও পড়ুন : কেউ ৪০-এ, কেউ ৭০-এ, চুটিয়ে সহবাসের পর বিয়ে করেছেন ৩ বাঙালিসহ এই ১০ তারকা

Deepankar De And Dolon Roy

আরও পড়ুন : ‘কারোর সংসার ভাঙিনি’! সতীনকে নিয়ে মুখ খুললেন দোলন রায়

দোলন এবং দীপঙ্করের ভালো থাকার চাবিকাঠি হল একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং বোঝাপড়া। স্বামীকে সব সময় আগলে রাখেন অভিনেত্রী। বয়সজনিত কারণে প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা কিন্তু তখন প্রাণ দিয়ে তাকে সেবা করেন দোলন। বর্তমান সমাজে যেখানে একের পর এক বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে যেখানে দোলন এবং দীপঙ্করের মতো ভালোবাসার মানুষের প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে যায়।