‘তুম হি হো’ গানে প্রোপোজ, তারাপীঠে বিয়ে, সিনেমার গল্পকেও হার মানায় অরিজিতের প্রেমকাহিনী

তার কন্ঠে দর্শককুল পাগল। দেশের নামজাদা গায়ক-গায়িকাদের ভিড়ে অত্যন্ত কমবয়সী এই গায়ক স্থান পেয়েছেন। গানের জগতে অগুন্তি ভক্তগনদের সুন্দর কন্ঠ শুনিয়ে মন জয় করেছেন অরিজিৎ সিং। অরিজিত্ সিং ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী কোয়েল রায় সিংয়ের প্রেম কাহিনি হার মানায় কোনও রোম্যান্টিক বলিউড ফিল্মের কাহিনিকেও। পশ্চিমবঙ্গের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে সঙ্গীত আবহের মধ্যেই তাঁর জন্ম হয়। ছোট বেলা থেকে মা, দিদিমা ও কাকীমাদের গানের তালিমেই বড় হয়ে ওঠেন  অরিজিৎ। তাঁরাও এক একজন দক্ষ সঙ্গীতশিল্পী।

২০০৫ সালে তাঁর প্রথম গানের জগতে পা রাখা। ফেম গুরুকুল নামে একটি সঙ্গীত প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেন তিনি। কিন্তু বিজয়ী হতে পারেননি। সেই থেকে তাঁর এগিয়ে যাওয়ার লড়াই শুরু হয়। এর পর ১০ কে ১০ লে গায়ে দিল প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হয়ে মিউজিক প্রোগ্রামার ও প্লে-ব্যাক সিঙ্গারের সুযোগ পান। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

প্রথমে ফেম গুরুকুল প্রতিযোগীতার বিজয়িনী রুপরেখা ব্যানার্জীকে তিনি বিয়ে করেন। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিবাহ-বিচ্ছেদ বা প্রথমবিবাহ নিয়ে তিনি কোনওদিনই মুখ খোলেননি। তখনই তিনি নিজেকে গড়ে তোলার জন্য হৃদয় ভাঙার গান তুম হি হো বানিয়ে ফেলেন। রেজিস্ট্রি হলেও সামাজিকভাবে বিয়ে হয়নি তাঁদের। ২০১৩ সেপ্টেম্বরে তাঁদের ডিভোর্স চূ়ড়ান্ত হয়।

ছোট বেলায় তাঁর স্কুলজীবনে একটি সুন্দরী মেয়েকে ভালবাসতেন গায়ক অরিজিৎ। তাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সে স্বাদও পূরন হয়নি। তবে রুপরেখার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সেই সুন্দরী কন্যা তাঁর জীবনে আবারও ফিরে আসেন। জানেন তিনি কে? তিনি আর কেউ নন, তাঁর বর্তমান স্ত্রী কোয়েল রায়।

তখন কোয়েলও ডিভোর্সী। অরিজিতের প্রথম বিয়েতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের সীলমোহর লাগবার আগেই ফের কোয়েলের সঙ্গে দেখা হয় অরিজিতের। ততদিনে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে অরিজিতের প্রাক্তন প্রেমিকা কোয়েলেরও। প্রথম পক্ষের একটি সন্তান রয়েছে কোয়েলের। কিন্তু প্রেম থাকলে কোনও কিছুই বোধ হয় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না।

তাঁর একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। ২০১৪-র ২১ শে মে তাঁরা বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। কোয়েলের একটি মেয়ে থাকলেও বর্তমানে এই দম্পতির আরও দুই ছেলে হয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী কোয়েলের প্রথম পক্ষের সন্তানকেও সারাক্ষণ আগলে রাখেন অরিজিত। অরিজিত্-কোয়েলেরও দুই সন্তান রয়েছে-এক ছেলে ও এক মেয়ে। তিন সন্তানকে নিয়ে ভরপুর পরিবার তাঁদের।

অরিজিতের দ্বিতীয় স্ত্রী কোয়েল আদতে তাঁর ছোটবেলার প্রেমিকা, একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন তাঁরা। কোয়েলের বাড়িও জিয়াগঞ্জে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে চুপিসাড়ে তারাপীঠ মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়েন কোয়েল-অরিজিত। কাউকেই এই বিয়ের ব্যাপারে টের পেতে দেননি।

একটি সাধারণ ছেলের অসাধারণত্ব সকলকেই  আকর্ষন করে। সত্যিই তাঁর বিবাহিত জীবনও সকলের নজরকাড়ার মতোই। ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলে  জীবনের শত বাধা অনায়াসে পার করা সম্ভব, সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন কোয়েল-অরিজিত জুটি।