পরকীয়া ছাড়া কি বাংলা ধারাবাহিক এগোতে পারে না? স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘আয় তবে সহচরী’ (Aye Tobe Sohochori) ধারাবাহিকটি তো শুরুর দিকে বেশ ভালই এগোচ্ছিল। এক মধ্যবয়সী গৃহবধূর কলেজে ফেরার গল্প, অসমবয়সী বন্ধুত্ব নিয়ে দারুণ এক জমজমাট গল্প দর্শক জমিয়ে উপভোগ করছিলেন। তবে আচমকা ছন্দপতন। সহচরী এখন আর কলেজে যায় না, স্বামীর প্রেমিকা ‘দেবিনা’র দেখভাল করাই তার একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে!
গল্পের ট্র্যাকের এই পরিবর্তনে দর্শক বেজায় বিরক্ত। দেবিনার আগমনে ধারাবাহিক টিআরপি তালিকায় এগোতে পেরেছে ঠিকই, তবে ধারাবাহিকের মান বেশ পড়ে দিয়েছে বলেই মনে করছেন দর্শকের একাংশ। তাই তো সহচরীকে কেন্দ্র করে নেটদুনিয়ায় চলছে ট্রোলিং। সহচরীর কলেজ জীবনের ইতি টেনে ইদানিং গল্পে শুধুই তার স্বামীর পরকীয়ার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই দর্শক দাবি তুলছেন, দেবিনাকে বিদায় করা হোক। গল্পে আসুক নতুন মোড়।
এই দাবি শুধু দর্শকের একার নয়। ধারাবাহিকের প্রাক্তন পরিচালকও বেজায় বিরক্ত এবং হতাশ হয়ে পড়ে ছেড়েছেন পরিচালনা। ধারাবাহিক যে চিন্তাভাবনা থেকে শুরু হয়েছিল তার থেকে সম্পূর্ণ ঘুরে গিয়েছে মোড়। শিক্ষার বদলে প্রাধান্য পাচ্ছে পরকীয়া! পরিচালক হিসেবে সুমন দাস তা মেনে নিতে পারেননি। তাই পরিচালকের বদল ঘটেছে। তবে গল্পের নতুন মোড় বিশেষ করে দেবিনাকে নিয়ে এই টানাপোড়েন দর্শকের চোখেও অসহ্য ঠেকছে। তাই অবিলম্বে গল্পের প্লট পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
কেন পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে এলেন সুমন দাস? পরিচালকের কথায়, ‘‘আয় তবে সহচরী’র পরিচালনার দিক থেকে আমার সঙ্গে ১ মাসের চুক্তি ছিল। পরে খুব জোড়াজুড়ি করতে ৪ মাস করে ছিলাম। একটা সময় পর হাঁপিয়ে উঠেছিলাম, পারছিলাম না , প্রযোজক যেটা চাইছিল সেটা হয়তো দিতে পারছিলাম না।পরে ভাবলাম সম্পর্ক নষ্ট করে লাভ নেই এখান থেকে বেরিয়ে আসাটাই শ্রেয়।’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি এই টিপিক্যাল মেগাসিরিয়ালের তুলনায় একটু ধরে কাজ করতে ভালোবাসি। আর একটা মেগা সিরিয়ালে ৪ মাস পর সিরিয়াল টার মধ্যে আর কিছু থাকে না।’ উল্লেখ্য পরিচালককে সহচরীর কলেজ জীবনে বাংলা প্রফেসরের চরিত্রে অভিনয় করতেও দেখেছেন দর্শক। আপাতত তিনি ধারাবাহিক থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে তিনি আশ্বাস দিলেন, ‘‘যদি আবার পর্দায় কলেজের পার্ট ফিরে আসে , যদি আবার প্রযোজক আমাকে ফেরাতে চায় তবে নিশ্চই ফিরবো।’’