শেষ মুহূর্তে এই কাজটি করলে হয়ত প্রাণে বাঁচতেন কেকে, কি বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

বলিউড (Bollywood) গায়ক কেকের (K K) অকালপ্রয়াণে রীতিমতো স্তব্ধ গোটা দেশ। এত কম বয়সে তার এমন মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে এমনটা আন্দাজ করেননি কেউ। তাও আবার কলকাতায় গান গাওয়ার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে প্রয়াণ ঘটেছে তার। কলকাতার ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগের আঙুল। কেকের মৃত্যুতে তাই স্বভাবতই বাংলার মুখ রক্ষা হল না।

মৃত্যুর রাতে কলকাতার যে কনসার্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি সেখানে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একদিকে কলকাতার ভ্যাপসা গরম, তার উপর ভিড়ে ঠাসা অডিটোরিয়াম, চড়া লাইট, উপরন্তু এসি বন্ধ রাখা হয়েছিল। এমনকি কেকের মুখের সামনে ফায়ার এক্সটিংগুইশারও ফেটে গিয়েছিল বলে জানা যায়। এই পরিস্থিতি তাকে ক্রমাগত মৃত্যুর মুখে ঠেলেছে। তবে শেষ মুহূর্তেও তাকে বাঁচানোর সম্ভাবনা ছিল, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কেকের শরীরে ময়না তদন্ত করে এক চিকিৎসক বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন তার বাম প্রধান করোনারি আর্টারি বা ধমনীতে একটা বড় ব্লকেজ ছিল। অন্যান্য ধমনী এবং উপ ধমনীতে ছোট ব্লকেজ ছিল। লাইভ শো চলাকালীন অত্যধিক উত্তেজনায় রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল কেকের। যার ফলশ্রুতিতে তার মৃত্যু হয়।

ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন এই মুহূর্তে যদি তাকে সিপিআর দেওয়া যেত তবুও তিনি প্রাণে বাঁচতেন। এদিনের অনুষ্ঠানের যে ভিডিও ক্লিপিংস সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে সেখানে বারবার দেখা গিয়েছে মঞ্চে তিনি মোটেও স্বস্তি বোধ করছেন না। গান গাইতে গাইতে হারিয়ে ফেলছেন সুর তাল লয়। দরদরিয়ে ঘাম ঝরছে শরীর বেয়ে, জল খাচ্ছেন বারবার। এসি বন্ধ গুমোট পরিবেশে তীব্র আলো তার অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছিল। আলো বন্ধ করে দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর কয়েক আগের মুহূর্তে ক্লান্ত হয়ে দেওয়ালে মাথা দিয়ে ভেঙে পড়েন কেকে।

এই পরিস্থিতিতেও অনুষ্ঠান বন্ধ রাখেননি তিনি। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে যান। তবে রুমে ঢুকতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় সিএমআরআই হাসপাতালে। তবে ততক্ষণে তার শরীর ছেড়ে গিয়েছে প্রাণ। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাহুল বৈদ্য, উদিত নারায়ণ, জাভেদ আখতার, শঙ্কর মহাদেবন, শ্রেয়া ঘোষাল, অলকা ইয়াগনিক, শিল্পা রাও এবং অন্যান্যরা।