পিলুকে ছাপিয়ে গেলো রঞ্জার অভিনয়, নায়িকাকে ছেড়ে খলনায়িকাতেই মুগ্ধ দর্শকরা

বাংলা টেলিভিশনপ্রেমীদের (Bengali Telivision) কাছে বেশ জনপ্রিয় ধারাবাহিক পিলু (Pilu)। জি বাংলার এই ধারাবাহিক প্রত্যেকবার সেরা দশের টিআরপি তালিকায় জায়গা করে নেয়। পিলু এবং আহিরের জুটিকে দারুণ পছন্দ করেন দর্শকরা। নবাগতা অভিনেত্রী মেঘা দাঁ (Megha Dawn) এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে নিজের অভিনয়ের খাতা খুলেছেন। তার বিপরীতে রয়েছেন গৌরব রায় চৌধুরী। বাংলা টেলিভিশনের মহিলা ফ্যানদের হার্টথ্রব তিনি।

গৌরবের বিপরীতে সমান সমান টক্কর দিয়ে অভিনয় করছেন নবাগতা মেঘা। এছাড়া ধারাবাহিকে রয়েছেন বিশ্বনাথ বসু, অঞ্জনা ভৌমিকের মত নামিদামি শিল্পীরা। তবে ইদানিং তাদের সকলের মাঝে দর্শকদের নজর কাড়ছেন অভিনেত্রী ইধিকা পাল (Idhika Paul)। ধারাবাহিকে রঞ্জা চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। প্রথমে তার চরিত্রটি ছিল খলনায়িকার চরিত্র। কিন্তু এখন বলতে গেলে তিনিই যেন দর্শকদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন।

ধারাবাহিকের গল্প অনুসারে ইদানিং রঞ্জার চরিত্রটিতে বেশ বড়সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। রঞ্জা একসময় পিলু এবং আহিরের মাঝে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করেছে। তবে আহিরের ভাই মল্লারের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর তার ব্যক্তিত্বের এক অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটেছে। এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের সাহসী নারী চরিত্র হয়ে উঠেছে রঞ্জা। রঞ্জার চরিত্রের এই পরিবর্তন দারুণ পছন্দও করছেন দর্শকরা।

পিলু এবং রঞ্জা এখন একই বাড়ির দুই বউ। কিন্তু দুজনের চরিত্রের মধ্যে রয়েছে অনেক বড় পার্থক্য। রঞ্জা তার স্বামীর অপরাধের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস রাখে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের একরোখা মনোভাবের ঊর্ধ্বে উঠে প্রতিবাদ করতে পারে সে। শ্বশুরবাড়ির চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে সে তার নিজের বক্তব্য রাখে স্পষ্ট করে। রঞ্জার এই চরিত্র দর্শকদের কাছে এতটাই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে যে সেই জায়গায় পিছিয়ে পড়ছে পিলু।

রঞ্জার মধ্যে রয়েছে হার না মানার দুর্দান্ত সাহস। মল্লারের প্রত্যেক অপমান, অন্যায়ের জবাব দিতে পিছুপা হয় না সে। সাহসী এবং বুদ্ধিমতী রঞ্জা মল্লারকে বারবার উপযুক্ত শিক্ষা দিচ্ছে। দর্শকরা ইধিকার অভিনয়গুণের ভূয়ষী প্রশংসা করছেন। অন্যদিকে তাদের সব রাগ গিয়ে পড়ছে পিলুর উপর। সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা স্পষ্ট লিখছেন, “রঞ্জা দারুন অভিনয় করছে, ফাটিয়ে দিচ্ছে। আর পিলুর অভিনয় কেমন ন্যাকামো হয়ে যাচ্ছে”!