জি বাংলা (Zee Bangla) সবেমাত্র শুরু হয়েছে ছোটদের নিয়ে নতুন ধারাবাহিক বোধিসত্তের বোধবুদ্ধি (Bodhisattwor Bodhbuddhi)। এরই মধ্যে ছোট্ট বোধি দর্শকদের মন জয় করে ফেলেছে। তার মনের মধ্যে ভিড় জমায় নানা রকমের প্রশ্ন। যতক্ষণ না পর্যন্ত উত্তর মিলছে, জানার চেষ্টা চালিয়ে যায় সে। মজাদার গল্পের আড়ালে শিক্ষামূলক এই ধারাবাহিকটিকে বেশ পছন্দই করছেন দর্শকরা।
তবে বোধির প্রশ্নের মুখে পড়ে রীতিমতো জেরবার হতে হয় তার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কারণ সে এমন এমন কিছু প্রশ্ন করে যার উত্তর তাদের কাছে থাকে না। সিলেবাস আর পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বেরিয়ে জানতে এবং শিখতে চায় বোধি। তবে তার স্কুলের উত্তরা ম্যাম এতে বেশ বিপাকে পড়ে যান।
সম্প্রতি ধারাবাহিকের থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে দেখা যাচ্ছে নিজের স্কুলের ইতিহাস ম্যাম অন্তরার নামে স্কুলের হেডমাস্টারের কাছে কমপ্লেন করতে গিয়েছে বোধি। কারণ তার ইতিহাসের ম্যাম পড়ার বইয়ের বাইরে একটুও বেরোতে রাজি নয়।
এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বোধি তার হেডমাস্টারকে বলছে, “ইতিহাস মানে তো গল্প, আমাদের প্রাচীন যুগের গল্প, রাজার ইতিহাস, আদিম যুগের গল্পকে ইতিহাস বলে। তারও আগে এগিয়ে গেলে হয় প্রাচীন যুগের ইতিহাস। যেখানে আমরা ডাইনোসরকে পাই।”
এদিকে ডাইনোসরের কথা উঠতেই ম্যাম আরও রেগে যান। তিনি বলেন, “ওটা জীববিজ্ঞানের মধ্যে পড়ছে।” ম্যাম রেগে গিয়ে হেডমাস্টারকে বলেন, “কি বাঁদর ছেলে দেখেছেন।” উত্তরে বোধি বলে, “ম্যাম আসলে আমরা সবাই বাঁদর। কারও বিবর্তন বেশি হয়েছে কারও কম।”
এখানেই শেষ নয় এরপর হেডমাস্টার যখন বোধিকে বলেন, “তোমার এখনও জানার অনেক সময় আছে ধীরে ধীরে সবটা জানতে পারবে।” তখন বোধি উত্তর দেয়, “আর কত ধীরে স্যার ম্যাম তো ১১ টা ২৫ এ আসেন!” সঙ্গে সঙ্গে উত্তর ম্যাম রেগে গিয়ে বলেন, মিথ্যে কথা বলছে স্যার আমি তো ১১টা ২০ তে ক্লাসে ঢুকে যাই!” বোধা তখন বলে, “কিন্তু স্যার ক্লাস তো শুরু ১১ টা থেকে”।
View this post on Instagram
তবে এতকিছুর পরে উত্তরা ম্যাম রীতিমত গজরাতেই থাকেন, “আমি শান্ত হব না। ক্লাস ফোরের সিলেবাসে আছে প্রাচীন যুগের ইতিহাস, আর ও জানতে চায় আধুনিক যুগের ইতিহাস। ও জানতে চায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন স্টুডেন্ট ছিল? আমি উত্তর জানি কিন্তু আমি কেন বলবো? সিলেবাসের বাইরে আমি কোনদিন যাইনি আর যাব না।”