কত টাকার সম্পত্তি রেখে গেলেন বাপ্পি লাহিড়ী, রইলো সম্পূর্ণ তালিকা

একের পর এক নক্ষত্র পতন সংগীতের দুনিয়াতে। লতা মঙ্গেশকর থেকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বাপ্পি লাহিড়ীরা (Bappi Lahiri) একে একে পাড়ি জমাচ্ছেন না ফেরার দেশে। আজ সকালে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বাপ্পি লাহিড়ী। তার মৃত্যুতে ভারতীয় সংগীত মহলের একটি অধ্যায়ের শেষ হল। তবে তিনি চলে গেলেও ভক্তদের জন্য রেখে গিয়েছেন ৬৫০ টিরও বেশি গান, যেগুলি শ্রোতাদের জন্য রত্নের মত।

১৯৫২ সালে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ছোট থেকেই তার বাড়িতে ছিল সংগীতের পরিবেশ। তবে তিনি কলকাতাতে নয়, যেতে চেয়েছিলেন মুম্বাইতে। তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। বাংলা, হিন্দি মিলিয়ে একাধিক ভাষায় অসংখ্য গান গেয়েছেন। সঙ্গে পশ্চিমা সভ্যতার হিপহপ গানের আদলে বলিউডে ডিস্কো ট্রেন্ড তৈরি করে দিয়েছেন। তিনি তার কেরিয়ারে দারুণ সফল।

তার প্রসঙ্গে কথা উঠলে তার পরিধানের সোনা নিয়ে প্রসঙ্গ উঠবেই। তার গলার সোনার চেইন থেকে শুরু করে, হাতের আংটি, ব্রেসলেট নজর কেড়েছে। সারা জীবনে যা কিছু উপার্জন করেছেন, তা থেকে আশ মিটিয়ে সোনা কিনেছেন। তিনি তার লাকি চার্ম হিসেবে মানতেন সোনার গয়নাগুলিকে। তাই সযত্নে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন এই গয়নাগুলি। ২০১৪ সালের রিপোর্ট অনুসারে তার কাছে মোট ৭৫৪ গ্রাম সোনা রয়েছে।

২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী বাপ্পি লাহিড়ীর কাছে ১৭ লক্ষ টাকার সোনা ছিল। তবে শুধু সোনা নয়, দামি দামি গাড়ির প্রতিও তার দুর্বলতা ছিল। তার বাড়িতে গ্যারেজে বিএমডাব্লিউ, অডি এবং টেসলার মত নামিদামি কোম্পানির গাড়ি ছিল। মুম্বাইতে তার যে বাড়িটি রয়েছে তার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা। সোনা, গাড়ি-বাড়ি মিলিয়ে তার কাছে ২২ কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল।

বাপ্পি লাহিড়ীর সম্পত্তির মধ্যে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে তার ব্যবহৃত সোনার গয়নাগুলি। কিংবদন্তি পরিচালক নিজেই বলতেন, “সোনার গয়না ছাড়া আমাকে মানায় না”। তার গলাতে ভারি ভারি ৭-৮ টি সোনার চেইন থাকত। প্রতিদিন পোশাক বদলের মত অলংকার বদল করতেন তিনি। তার সংগ্রহের স্বর্ণালঙ্কারগুলি সযত্নে সংগ্রহ করে রাখবেন তার সন্তানরা। ভবিষ্যতে সেগুলি কোনও এক সংগ্রহশালায় বাবার স্মরণে রেখে দেবেন।