‘বুড়ি দূর্গা, দেখে ভক্তি-শ্রদ্ধা উঠে যাচ্ছে’, ঋতুপর্ণাকে দূর্গা বানানোর প্রতিবাদে সোচ্চার নেটিজেনরা

প্রত্যেকবারের মত এবারেও মহালয়ার (Mahalaya) ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগে কালার্স বাংলার (Colours Bangla) তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে আসন্ন মহালয়া অনুষ্ঠানের টিজার। কালার্স বাংলার এইবারের মহালয়ার বিষয়বস্তু ‘দেবী দশমহাবিদ্যা’ (Debi Doshomohabidya)। মহালয়া ২০২২ নিয়ে সমগ্র বাঙালি উৎসাহিত। তবে কালার্স বাংলায় দেবী দূর্গার মুখ দেখে কার্যত চরম হতাশ হয়েছেন দর্শকদের একাংশ।

এই দফায় জি বাংলা এবং স্টার জলসাকে টেক্কা দিতে টলিউডের ‘মহানায়িকা’ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে (Rituparna Sengupta) এনে চমক দিতে চেয়েছিল কালার্স বাংলা। দেবী দূর্গার সাজে এই প্রথমবার বাংলা টেলিভিশনের পর্দাতে মুখ দেখালেন ঋতুপর্ণা। তবে তার প্রথম লুক প্রকাশ্যে আসার পর তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে চরম ট্রোলিং।

দেবী দুর্গার সাজে মাথায় মুকুট, লাল রঙের বেনারসি, গা ভর্তি সোনার গয়নার সাজ, হাতে ত্রিশূল নিয়ে স্মিত হাসি মাখা মুখে দেবীর বরাভয় অবতারে ঋতুপর্ণার প্রথম লুক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে তুমুল তরজা। টলিউডের এই অভিনেত্রীকে দেবী দুর্গার সাজে মোটেই মানাচ্ছে না বলে সরাসরিই জানাচ্ছেন তারা।

শুধু তাই নয় ঋতুপর্ণাকে সরাসরি ‘ন্যাকাশ্রী’, ‘বুড়ি দূর্গা’ বলে কটাক্ষ করছেন তারা। প্রোমোর নিচে কমেন্ট বক্সে একের পর এক মন্তব্যের রীতিমত বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কেউ লিখছেন, “দেবী বৃদ্ধা হয়েছেন বলে মনে করছে প্রযোজনা সংস্থা!” তো কারও দাবি, দেবী দূর্গার চোখ নেই! নেটিজেনদের একাংশ বলছেন দেবী দুর্গার মুখের নির্বাচন সম্পূর্ণ ভুল হয়েছে।

হতাশ হয়ে কেউ লিখছেন, “এতো ভালো Set , Animation সব দারুণ। কিন্তু কাকে দূর্গা সাজালেন!! মানাচ্ছে না। অনেকেই বড় ফিল্মস্টার হতেই পারেন কিন্তু মায়ের মধ্যে যে পবিত্রতা থাকে আর কতটা প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারেন তার সন্তানকে বাঁচাতে – তার এক অংশও ঋতুপর্ণার মুখে নেই।” কেউ কটাক্ষ করে লিখছেন, “ভাগ্যিস রাণু মন্ডলকে নেয়নি!”

দর্শকদের একাংশ চেয়েছিলেন অভিনেত্রী পায়েল দে’কে এবার কালার্স বাংলাতে দেবী দূর্গা হিসেবে নেওয়া হোক। তিনি চ্যানেলের ‘সোনা রোদের গান’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। অন্যান্য চ্যানেল যেখানে সিরিয়ালের অভিনেত্রীদেরই মহিষাসুরমর্দিনীর ভুমিকায় দেখাচ্ছে সেখানে কালার্স বাংলা ঋতুপর্ণাকে কাস্ট করাতে বেজায় আপত্তি তুলছেন দর্শকরা।