সকাল থেকেই কথা বন্ধ, লক্ষ্মী কাকিমা টপার হয়েছে বিশ্বাসই করতে পারেননি অপরাজিতা

বাংলা টেলিভিশন (Bengali Telivision) ইন্ডাস্ট্রিতে টিআরপিই (TRP) হল শেষ কথা। জি বাংলা (Zee Bangla), স্টার জলসার প্রত্যেকটি ধারাবাহিকই টিআরপিতে সেরা হওয়ার জন্য লড়াই করছে। প্রতি সপ্তাহে টিআরপি ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় কোনওবার স্টার জলসা, কোনওবার জি বাংলার সিরিয়াল হয়েছে টপার। আর এই সপ্তাহে তো সব হিসেব উল্টে দিয়ে ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ (Lokkhi Kakima Superstar) বেঙ্গল টপার হয়েছে।

লক্ষ্মী কাকিমার জয়যাত্রার শুরুটা কিন্তু হয়ে গিয়েছিল গত সপ্তাহ থেকেই। এই ধারাবাহিক শুরুর পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে টিআরপিতে সেরা ১০ এর তালিকার মধ্যে নাম লিখিয়ে নেয়। তারপর ক্রমে নম্বর বেড়েছে লক্ষ্মী কাকিমার। অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya) চার বছর পর পর্দায় ফিরে নিরাশ করেননি।

চার বছর পর বাংলা ধারাবাহিকে ফিরে এসে টপার হওয়া কোনও মুখের কথা নয়। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার এলেই দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে যেত তার। কারণ এই দিনটাই যে রেজাল্ট বেরোনোর দিন! টিআরপি বেরোনোর দিন কী করেন লক্ষ্মী কাকিমা? জানালেন তার অনস্ক্রিন বৌমা হংসিনী ওরফে শার্লি মোদক।

শার্লি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেছেন, “অপাদি (অপরাজিতা আঢ্য) প্রচণ্ড খুশি। আগের সপ্তাহে চ্যানেল টপার হওয়ার পরও উনি খুব খুশি হয়েছিলেন। অপাদি আসলে খুব টেনশনে থাকেন বৃহস্পতিবার। শুরুরদিকে উনি বলতেন, এই দিনটাতে তোরা আমাকে (শ্যুটিং-এর) কল দিবি না। আমার খুব টেনশন হয়।”

তিনি আরও বলেছেন, “গত কয়েক সপ্তাহে আমাদের টিম টিআরপি তালিকায় উপরের দিকে আছে, তারপর থেকে অপাদি একটু নিশ্চিন্ত। তা না হলে উনি এতটা ট্রমাটাইজড থাকেন টিআরপি নিয়ে। ফোন করে ওঁনাকে সকালবেলা আমরা টপে আছি বললেও উনি সেটাও বুঝতে পারেন না। কিছুটা ধাতস্থ হওয়ার পর বোঝেন আমরা সেরা হয়েছি, তখন খুব খুশি”।

ধারাবাহিকের পরিচালক তথা ‘কৃষ্ণকলি’র পরিচালক বিজয় মাজির কথায়, “আমরা দীর্ঘদিন নম্বর ১ ছিলাম, ফের হতে পেরেছি। এই অনুভূুতিটা ভাষায় ব্যক্ত করা যাবে না। আমরা দারুণ খুশি’। সঙ্গে যোগ করলেন, ‘এই সাফল্য কারুর ব্য়ক্তিগত সাফল্য নয়। যাঁরা গল্প লিখছেন, অভিনয় করছেন, সবার ক্রেডিট। আমার টিমে অপরাজিতা আঢ্য, দেবশংকর হালদারের মতো অভিজ্ঞরা রয়েছেন, নতুনরাও খুব ভালো কাজ করছেন… এটা টিম এফর্ট”।