মাত্র ৬০ টাকায় মিলছে দুয়ারে বিরিয়ানি! এক ফোনেই বিরিয়ানি পৌঁছে যাবে আপনার বাড়িতে

এ যেন একেবারে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ! যার কাছে শুধু মুখ ফুটে বলতে দেরি, খাবার এসে যেত পাতে। পার্থক্য শুধু এটাই যে বাস্তবের এই দুনিয়াতে মিলছে শুধুই বিরিয়ানি (Biriyani)। তবে বিরিয়ানি লাভারদের কাছে তাই বা কম কিসের? যখনই মন ‘বিরিয়ানি বিরিয়ানি’ করবে বাড়ির দোড়গোড়ায় এসে যাবে এক প্লেট বিরিয়ানি! আর দামও এই বাজারের তুলনায় নেহাতই সস্তা।

হাওড়া শ্যামপুকুর থানার বাসিন্দা বিধান চক্রবর্তীর (Bidhan Chakraborty) বাড়ি বাড়ি বিরিয়ানি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বিরিয়ানিপ্রেমীদের কথা ভেবে বাড়ি বয়ে এসে তিনি পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন খাবার। নামটাও তাই দিয়েছেন, ‘দুয়ারে বিরিয়ানি’ (Duare Biriyani)! সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ‘দুয়ারে বিরিয়ানি’ আজ ব্যাপক হিট হাওড়ায়। প্রতিদিন তার কাছে এত অর্ডার আসে যে সামলে ওঠা মুশকিল হয়ে ওঠে।

বিধানবাবু আগে রাজস্থানে কাজ করতেন। সেখানে স্ট্রিট ফুডের দাম ছিল চড়া। সেই দেখে তিনি সাধারণ মানুষের বাজেটের মধ্যে বিরিয়ানি পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখন এই কাজে তার স্ত্রী তাকে সাহায্য করেন। রাজমিস্ত্রির কাজ ছেড়ে এখন পুরোদস্তুর নিজেকে এই ব্যবসাটি সঁপে দিয়েছেন বিধানবাবু।

বাইকের পেছনে লাল রঙের হান্ডি বাঁধা থাকে সবসময়। এই বাইক নিয়েই বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিরিয়ানি বিক্রি করেন বিধানবাবু। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের সঙ্গে বিরিয়ানি বিক্রেতার এই উদ্যোগের মিল রয়েছে। এই সময় ডিজিটালের কাছে তিনি জানিয়েছেন, “দিদিভাই (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)-এর দেওয়া দুয়ারে সরকার নামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। তাই আমি দুয়ারে বিরিয়ানি নামটা নেব বলে ঠিক করেছি।”

All You Need To Know About Duare Biriyani

তার এই ব্যবসার বেশ কিছু দিক রয়েছে যা গ্রাহককে আকর্ষণ করে। একে তো বর্তমান বাজারের তুলনায় নেহাত সস্তায় মিলছে বিরিয়ানি। তার উপর আবার বাড়ি বয়ে এসে পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন বিক্রেতা, তাও একেবারে বিনা পয়সায়। ডেলিভারি চার্জ বাবদ আলাদা কোনও খরচ করতে হয় না। লোকমুখে ‘দুয়ারে বিরিয়ানি’র কথা ফিরতে ফিরতে আজ অনেক গ্রাহক হয়ে গিয়েছে বিধানবাবুর।

৬০ টাকার ‘দুয়ারে বিরিয়ানি’র মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে এক পিস চিকেন এবং আলু। দিনে দিনে তার বিক্রীও বেশ বেড়েছে। এতটা সাড়া পাবেন আশা করেননি তিনি। বর্তমানে প্রতিদিন ৭০-৮০ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে তার। যদিও তাতে চাহিদার তুলনায় যোগান দিয়ে উঠতে পারছেন না।