দুবেলা খাবার জোটেনি কতদিন! ৪ বছরেই হিরো আলমের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, সম্পত্তির খতিয়ান চমকে দিচ্ছে

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি ভাইরাল হওয়া সেলিব্রিটি হলেন হিরো আলম (Hero Alom)। তার অভিনয় এবং গান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা কিছু কম হয় না। তবে নেতিবাচক সমালোচনাতেও যে ট্রেন্ডে থাকা যায় তা প্রমাণ করেছেন এই বাংলাদেশি (Bangladesh) তারকা। নেটিজেনদের সমালোচনা মাথায় পেতে নিয়েই তিনি হয়েছেন বড় তারকা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে তার সম্পত্তির খতিয়ান যা জেনে চমকে যাচ্ছেন সকলে।

হিরো আলম শুধু একজন অভিনেতা বা গায়ক নন, রাজনীতিতেও তার বেশ আগ্রহ রয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের উপ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তবে জেতা তো দূরের কথা, বিপরীত প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে বেদম মার খেতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু তাতে অবশ্য দমে যাওয়ার পাত্র নন আলম। এই বছরেও তিনি বাংলাদেশের বগুড়া ৪ কাহালু-নন্দীগ্রাম এবং বগুড়া ৬ সদর আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

HERO ALOM

আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নের সঙ্গে সঙ্গে জমা পড়েছে তার সম্পত্তির খতিয়ান। আর সেখানেই নাকি বিস্তর গড়মিল পেয়েছেন বগুড়া জেলার প্রশাসক। তার কারণ মাত্র চার বছরের মধ্যেই নাকি কোটি কোটি টাকা ঢুকেছে আলমের অ্যাকাউন্টে। এত কম সময়ের মধ্যে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি কোথা থেকে পেলেন? উঠছে প্রশ্ন।

আলম তার সম্পত্তির খতিয়ানে যা কিছু দেখিয়েছেন তা দেখলে চমকে যেতে হয়। চার বছর আগেও তার সম্পত্তি বলতে তেমন কিছুই ছিল না। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যেই ফুলেফেঁপে উঠেছে তার সম্পত্তি। কয়েক বছর আগে তার ব্যাঙ্কে ছিল মাত্র হাজার টাকা। সঙ্গে ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের একটা পুরনো বাইক এবং ২.৫ লক্ষ টাকার আসবাব ছিল। সঙ্গে তার স্ত্রীর ছিল এক ভরি সোনা।

তবে চার বছরের মধ্যেই সম্পত্তি বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে ফেলেছেন আলম। এখন তার কাছে ৯ শতকের উপর একটি বাড়ি রয়েছে। কৃষিজমির পরিমাণ রয়েছে ৫০ শতক। স্ত্রীর গয়না এক ভরি থেকে দশ ভরিতে দাঁড়িয়েছে। আর ব্যাঙ্কে রয়েছে ৫৫ লক্ষ টাকা। আলমের প্রদর্শিত সম্পত্তির খতিয়ান দেখে তাই মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছেন প্রশাসক।

তবে আলম অবশ্য দাবী করছেন এগুলো কোনওটাই কালো টাকা হয়নি। সৎপথে থেকে উপার্জন করেছেন তিনি। আলম বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ছবিতেও অভিনয় করেন। এক সময় তার কেবলের ব্যবসা ছিল। সেই থেকে কষ্টেসৃষ্টে কোনওরকমে দিন কাটাতেন আলম। এখন ইউটিউবে তার নিজস্ব চ্যানেল আছে, সেখানে রয়েছেন কয়েক কোটি সাবস্ক্রাইবার। বাংলাদেশের এই ভাইরাল গায়ক রাতারাতি গড়ে তুলেছেন তার সাম্রাজ্য।