রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার পরিচয় তিনি শাসক দল তৃণমূল সরকারের বিধায়ক। তবে গোটা বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে কীর্তনশিল্পী হিসেবে তার পরিচিতি গড়ে উঠেছিল অনেক আগেই। তিনি হলেন অদিতি মুন্সি। এখন তার স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকে নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলায়। দেবরাজ হলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। সদ্য নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে অদিতির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।
দেবরাজ বর্তমানে তৃণমূলের একজন দাপুটে নেতা। শোনা যায় খোদ অভিষেক ব্যানার্জীর হাত রয়েছে তার মাথার উপর। এহেন দেবরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি পুর নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় যুক্ত। যে মামলাকে কেন্দ্র করে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার সকালেই সিবিআইয়ের দল হানা দেয় তার বাড়িতে।
অবশ্য এই প্রথম নয়, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে এর আগেও দেবরাজ এবং সিবিআই মুখোমুখি হয়েছিলেন। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই ডেকে পাঠায় তাকে। এখন অবশ্য পুর নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত শেষ করতে তৎপর তদন্তকারী আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, একসময় রাজ্যের প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর আপ্তসহায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলার হিসেবে নিযুক্ত হন দেবরাজ। তবে তখন অবশ্য তিনি রাজ্য শাসক দলের অধীনে ছিলেন না। কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়াই করে জয়লাভ করলেও কিছুদিন বাদেই তিনি দল পরিবর্তন করেন। ফের যোগদান করেন তৃণমূলে।
আরও পড়ুন : ড্রাইভার-রাঁধুনীদের কত বেতন দেন মুকেশ আম্বানি? জানলে প্রধানমন্ত্রীও লজ্জা পাবে
এখন বিধাননগর তথা গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একজন দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে বেশ প্রভাব রয়েছে তার। তিনি অভিষেক ব্যানার্জীর ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। অদিতি মুন্সির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল ২০১৮ সালে। প্রেম করে নয়, দুই বাড়ির সম্মিলিত প্রয়াসে অদিতি ও দেবরাজের বিয়েটা ছিল অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ।
আরও পড়ুন : মেয়ের কী নাম রাখলেন রাজ-শুভশ্রী? সেই নামের অর্থ কী
আরও পড়ুন : কত টাকার মালিক সুপারস্টার চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, প্রকাশ্যে এল সম্পত্তির পরিমাণ
বিয়ের পর অদিতিও প্রবেশ করেন রাজনীতিতে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের হয়ে জয়লাভ করে রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রের বিধায়ক হন। সেই অদিতি এবং দেবরাজের বাড়িতে সিবিআই হানা দিল এবার। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চলেছে এদিন। দেবরাজের জ্যাংড়ার বাড়ি, জিএনএস সরণির বালাজি অ্যাপার্টমেন্টে এবং বাগুইহাটির ফ্ল্যাটে চলেছে তল্লাশি। শেষমেশ তার ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। অবশ্য আদালতের নির্দেশ অনুসারে এই তৃণমূল কাউন্সিলর তদন্তে সম্পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন : আম্বানির থেকেও ধনী ছিলেন, এখন ভিখারির হাল! এই ভারতীয় ধনকুবেরের কাহিনী আপনাকে কাঁদিয়ে ছাড়বে