মাঝরাতে গাড়ি থামিয়ে অসভ্য আচরণ! ক্যাব-ড্রাইভারকে উচিত শিক্ষা দিলেন নায়িকা

বর্তমানে কলকাতার রাস্তাতে চার চাকা ক্যাব গাড়ির পাশাপাশি ক্যাব বাইকেরও রমরমা বেশ বেড়েছে। টালিগঞ্জের অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরাও বাড়ি যাতায়াতের জন্য এই ধরনের ক্যাবের সহায়তা নিচ্ছেন। আর এমনটা করতে গিয়েই কার্যত ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার শিকার হতে হল অভিনেত্রী তনুশ্রী সাহাকে। কালার্স বাংলার ‘রামকৃষ্ণ’ ধারাবাহিকের এই অভিনেত্রী গত শুক্রবার মাঝরাতে ভয়ানকের বিপদে পড়েছিলেন। সেটাই তিনি শেয়ার করে নিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।

তনুশ্রী জানিয়েছেন টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে শুটিংয়ে যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে তিনি ক্যাব বাইক বুক করেন বাড়ি ফেরার জন্য। শুক্রবার রাতেও তাই করেছিলেন। যে ভাড়া হয় তার থেকে ১২০-১৩০ টাকা তাকে অতিরিক্ত দিতে হয় ড্রাইভারকে। তনুশ্রী জানিয়েছেন এটাই নাকি দস্তুর। সাধারণ ভাড়ার থেকে ১০০-১৫০ টাকা অতিরিক্ত নেন চালকরা।

Tanushree Saha

তনুশ্রীর অভিযোগ এদিন গাড়ি স্টার্ট নেওয়া মাত্র ওই ড্রাইভার বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে শুরু করেন। এমনকি রীতিমত দু-দুবার অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার হাত থেকেও কোনওক্রমে রক্ষা পান তারা। তবুও ড্রাইভার ওইভাবে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তনুশ্রী একসময় বলতে বাধ্য হন, “দাদা প্লিজ এভাবে গাড়ি চালাবেন না। আপনার হয়তো বাড়ি ফেরার ইচ্ছে নেই, আমাকে কিন্তু বাড়িতে ফিরতে হবে।”

তবে তনুশ্রীর কথায় লাভ তো হয়নি, উল্টে ওই ব্যক্তি আরও অসভ্য আচরণ শুরু করেন অভিনেত্রীর সঙ্গে। ওই মাঝরাতে একটি ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তাকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলা হয়। এমনকি রীতিমত তুই-তোকারি শুরু করে গালিগালাজ পর্যন্ত করতে থাকেন ওই ড্রাইভার। তনুশ্রী কিন্তু ওইখানে নামতে চাননি। তিনি বলেন যেখানে লোকেশন দেওয়া আছে তিনি সেখানেই নামবেন। এতে ওই ব্যক্তি বলে, “আমি তো যাব না তুই এখনই গাড়ি থেকে নাম।”

Tanushree Saha

এখানেই শেষ নয়, ওই ড্রাইভার এরপর তার গ্যাংয়ের ছেলেদের ফোন করে। ৮-৯ টা ছেলে ওই জায়গাতে চলে আসে। গাড়ি থেকে নেমে তনুশ্রীকে মারতেও যায় ওই ড্রাইভার। ওই সময় তনুশ্রী চিৎকার শুরু করে দেন। এতে ওই ড্রাইভার ভয় পায়। তবে তনুশ্রী বলেছেন ওইদিন তিনি তার জায়গায় অন্য কোনও মেয়ে থাকলে খুন পর্যন্ত হয়ে যেতে পারতেন।

আরও পড়ুন : ‘লাপাতা লেডিজে’র ফুলকুমারী আসলে কে? রইল অভিনেত্রীর আসল পরিচয়

আরও পড়ুন : জি বাংলায় আসছে নতুন সিরিয়াল! দেখুন প্রোমো

তবে তনুশ্রী ওই রাতে কলকাতা পুলিশের থেকে অনেক বড় সাহায্য পেয়েছিলেন। তিনি কলকাতা পুলিশকে ফোন করামাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই সেখানে বিধাননগর পুলিশ, কলকাতা পুলিশ পৌঁছে যায়। তবে তনুশ্রী ওই ব্যক্তিকে অ্যারেস্ট করাতে চাননি। তার কথায়, “আমি ভাবলাম কারও পেটে লাথি মারা আমার উদ্দেশ্য নয়। দেখেই মনে হচ্ছে রুটি-রুজির জন্য এসেছে। কিন্তু একটা বিষয় বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলাম যে মেয়ে বলে ভাবার কিছু নেই অসভ্যতা করলে সেটা মেনে নেওয়া হবে। চিৎকারের পাল্টা কী হতে পারে একটা নমুনা জেনে রাখা প্রয়োজন।”