৪ বউকে নিয়ে থাকবেন রাজার হালে! দ্বিতীয় ‘অ্যান্টিলিয়া’ বানালেন এই ব্যক্তি

Second Antilia House In Uttar Pradesh : ভারতের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) -র বাড়ি অ্যান্টিলিয়া (Antilia) একটি রাজপ্রাসাদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। যা সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ব্যাবসার পাশাপাশি তার বাড়িও সবসময় খবরের শিরোনামে থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন মুকেশ আম্বানিকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এক সাধারণ ব্যাক্তি? তিনি অ্যান্টিলিয়ার মতোই এক বিশাল প্রাসাদের মতো বাড়ি বানিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছেন। চলুন জেনে নিই কে সেই ব্যক্তি।

মূলত, উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) -র মির্জাপুর জেলার একটি ১৪ তলা (Mirzapur Antilia House) বাড়ি আজকাল শিরোনামে বার বার উঠে আসছে। কারণ সম্প্রতি বাড়িটিকে সিল করে দিয়েছেন SDM। আসলে সেখানকার বাসিন্দা সিয়ারাম প্যাটেল চেয়েছিলেন রাজকীয়ভাবে থাকতে। আর সেই কারণেই তিনি গ্রামে ব্যাবসায়ী মুকেশ আম্বানির বাড়ি “অ্যান্টিলিয়া”-র মতোই একটি ১৪ তলার বাড়ি নির্মাণ করেন।

Second Antilia House In Uttar Pradesh

এছাড়াও ওই ব্যক্তি রাজাদের মত ৪ বার বিয়েও করেছেন। তার ছয়টি বাচ্চাও আছে। তিনি পেশায় ওষুধের ব্যবসা করেন। তার নিজস্ব পৈতৃক বাড়ি এবং জমির সম্পত্তিও রয়েছে। তবে তিনি সম্প্রতি তার নির্মাণ করা ১৪ তলা বাড়ি নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। কারণ বাড়িটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নির্মিত। বাড়িটি তৈরি করতে কোনো রকম নিয়ম মানা হয়নি।

কিন্তু এসডিএম-এর কাছে এই বাড়িটি প্রসঙ্গে আবেদন করেছিলেন তার নিজের মেয়ে। এই মেয়েটি সিয়ারামের তৃতীয় পক্ষের সন্তান। সে এসডিএম-এর কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরে ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বাড়িটি সিল করে দেন। মূলত রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা না দেওয়ার বিষয়ে ওই ব্যক্তির মেয়ে এসডিএমের কাছে অভিযোগ করেছিলেন।

Second Antilia House In Uttar Pradesh

যদিও এই ১৪ তলা বাড়ি নিয়ে গ্রামবাসীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন এক ব্যাক্তি। ওই গ্রামের বাসিন্দা রামেশ্বর গন্ড জানান, “রাজার মতো বিখ্যাত হওয়ার জন্য সিয়ারাম একটি দুর্গের মতো ভবন তৈরি করেছিলেন। সিয়ারাম আরও উঁচু ভবন নির্মাণ করার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু আমরা অভিযোগ করেছিলাম। পরে প্রশাসন নির্মাণ বন্ধ করে দেয়।”

Second Antilia House In Uttar Pradesh

আরও পড়ুন : রাতারাতি হবেন কোটিপতি, এই ৪ কাজ না করলে কম মাইনেতেও বড়লোক হতে পারেন

তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘কোনো সঠিক নিয়ম না মেনেই এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। যার কারণে ঝড় হলে আশপাশের লোকজন তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যান। এমনকি, এই ভবনের জন্য বহু মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে বহুদূরে বসতি স্থাপন করেছেন। এমনকি রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার সময়ে গ্রামের এই উঁচু ভবনটি দেখতে গিয়ে পথচারীরাও বহুবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।’

আরও পড়ুন : ১৫০০ কোটির অ্যান্টিলিয়াও ফেল! মুকেশ আম্বানির মেয়ের বাড়ির দাম, অন্দরমহল কেমন দেখতে জানেন?