সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীকে গোটা দেশ একডাকে চেনে। তিনি হলেন ইন্ডাস্ট্রির মহাগুরু। জীবনে বহু সংগ্রাম করে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জন্য জায়গা গড়তে পেরেছিলেন। কালো, তথাকথিত হ্যান্ডসাম চেহারা নয়, তবুও নাচ এবং অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের হার্টথ্রব।
তবে দীর্ঘ প্রায় ৫ দশকের কেরিয়ারে মিঠুন চক্রবর্তী নিজের জন্য যে সম্মান, ভালোবাসা আদায় করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে তার বড় ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী ওরফে মিমোর কারণে তা প্রায় হারাতে বসেছিলেন তিনি। একটা সময় এমন গিয়েছিল যে মিঠুনের গোটা পরিবার অন্ধকারের মধ্যে ডুবে গিয়েছিল।
বাবার মত মিঠুনের বড় ছেলেও অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্নপূরণ করার জন্য তিনি বলিউডে পা রাখেন। ২০০৮ সালে ‘জিমি’ নামের একটি ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। ছেলের জন্য কিন্তু প্রচারে কোনও ঘাটতি রাখেননি মিঠুন। কিন্তু ছবিটি বক্সঅফিসে ব্যাপকভাবে ফ্লপ করে।
মহাক্ষয় জানিয়েছেন ওই সময়টা তাদের পরিবারের কাছে মোটেই ভাল ছিল না। গোটা পরিবার এমনকি তার বাবাও ভেঙে পড়েন দুঃখে। বিভিন্ন জায়গায় মিমোর কাজ নিয়ে শুধু সমালোচনা হচ্ছিল না, তাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদনে লেখা হয় তিনি নাকি জুনিয়র আর্টিস্ট হওয়ারও যোগ্য নন। ছেলেকে নিয়ে এমন সমালোচনায় দুঃখ পেয়েছিলেন মিঠুন এবং তার স্ত্রী যোগিতা বালি (Yogeeta Bali)।
আরও পড়ুন : শ্রীদেবী-যোগীতা নন, মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম স্ত্রী ছিলেন বলিউডের এই অভিনেত্রী
আরও পড়ুন : হাতে নেই কাজ, ১৪ বছর ধরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মিমোহ
সুপারস্টার বাবা-মায়ের ছেলেকে নিয়ে ওই সময় বলিউডে যে তোলপাড় চলছিল তা কার্যত মানসিকভাবে ভেঙে দেয় গোটা পরিবারকে। ছেলের সমালোচনা বাবা-মায়ের উপরে বড় প্রভাব ফেলে, এমনটাই জানান মহাক্ষয়। তিনি স্পষ্ট করে জানান ইন্ডাস্ট্রিতে স্বজনপোষণ নেই, তিনি তার জ্বলন্ত উদাহরণ। নেপোটিজম থাকলে তিনি এতদিনে তার ৪ কিংবা ৫ নম্বর ছবিটাও করে ফেলতেন।
আরও পড়ুন : আজও দেবশ্রীকে ভুলতে পারেননি মিঠুন চক্রবর্তী, অবশেষে অভিনেত্রীকে নিয়ে মুখ খুললেন মহাগুরু
মহাক্ষয় বলেছেন তিনিও বলিউডে বাকিদের মতই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বহুবার এমন হয়েছে অডিশন দিয়ে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। টিভি থেকে সিনেমা সবকিছুর অডিশন দিয়েছেন তিনি। তিনটি ছবি করেছেন নিজের যোগ্যতায়। তাই তিনি নিজেকে নিয়ে গর্বিত। জিমি ফ্লপ হওয়ার পর ‘হন্টেড ৩-ডি’ এবং ‘এনিমি’ নামের দুটি ছবি করেন তিনি। সেগুলোও বক্স অফিসে চলেনি।