বাতিল হওয়া নোট কোথায় যায়, বাতিল হওয়া নোট দিয়ে কী করা হয়?

ভারতে নোট (Indian Notes) বাতিলের ঘটনা একাধিক বার ঘটতে দেখা গিয়েছে ‌তবে বিগত কয়েক বছরে দুই বার ঘটে গিয়েছে এমন ঘটনা। সর্বপ্রথম এই ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬ সালে, তারপর আবার চলতি বছরে‌ এমন ঘটনা ঘটেছে। এবছর বন্ধ করা হয়েছে ২০০০ টাকার নোট। কিন্তু এই নোট চালু করা হয়েছিল প্রথমবার ২০১৬ সালেই। সেই বছর যেমন কিছু নোট বাতিল করা হয়েছিল ঠিক তেমন এই চালু করা হয়েছিল।

কিন্তু এত বছর পর আবার বাতিল করা হল ২০০০ টাকার নোট। যদিও এখন চালু রয়েছে এই নোটগুলি। আপাতত আরবিআই (RBI)-এর তরফে সব ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হয়েছে ২০০০ টাকার নোট দেওয়া বন্ধ করতে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই নোটগুলি। অর্থাৎ যাদের কাছে এই নোট রয়েছে তাদের তাড়াতাড়ি বদলে নিতে বলা হয়েছে।

2000 note
কিন্তু সকলের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে এই বিপুল পরিমাণ বাতিল নোট কী কাজে লাগে? বা কোথায় যাবে এই বাতিল হয়ে যাওয়া নোটগুলো? আসলে এই সব বাতিল নোট আরবিআই এর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি বিশেষ মেশিনের সাহায্যে এই নোটগুলিকে টুকরো করে নষ্ট করা হয়।

সারা দেশে আরবিআই-এর মোট ১৯টি অফিসে ২৭টি নোট ক্লিপিং মেশিন রয়েছে। এই মেশিন নোটগুলিকে শুধু মাত্র‌ টুকরো করে। তারপর এই টুকরোগুলোকে সংকুচিত করে কার্ড বোর্ডে রুপান্তরিত করা হয়। এবার এই কার্ড গুলোকে কাজে লাগিয়ে বই, খাতার ও ফাইল তৈরি করা হয়।

2000 ban note
তবে যে কার্ডবোর্ডগুলো বেশি শক্ত হয়ে যায় সেগুলো জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সিমেন্ট তৈরির সময় এই কার্ডগুলি ব্যবহার করা হয়। এমনকি এই নষ্ট হয়ে যাওয়া নোটগুলি সার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এই নিয়ম সবার আগে চালু করে ছিল ২০০০ সালে।

2000 ban
আরও পড়ুন : বিশ্বের ১০ উচ্চতম স্ট্যাচু, যাদের স্থান ভারতের স্ট্যাচু অফ ইউনিটির পরেই

ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড সেই বছর এই পদ্ধতি চালু করেছিল। আজও এই‌ নিয়ম চালু রয়েছে অনেক দেশে। আমাদের দেশেও এই নিয়ম মেনেই বাতিল নোট নষ্ট করা হয়। আরবিআই এই‌ বিশেষ নিয়মকে কাজে লাগিয়ে বাতিল হয়ে যাওয়া নোট নষ্ট করে।

আরও পড়ুন : বিজয় মাল্য সম্পর্কে ৩০টি অজানা তথ্য, জানলে চোখ কপালে উঠবে আপনার