লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (Life Insurance Corpoartion Of India) তথা এলআইসি (LIC), বিনিয়োগকারীদের জন্য ভরসার অনেক বড় আস্তানা। বছরের পর বছর ধরে বিনিয়োগকারীরা এলআইসিতে তাদের জীবনভরের রোজগার বিনিয়োগ করেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্তদের জন্য এলআইসির বিভিন্ন পলিসি আছে যেগুলো থেকে মোটা টাকা উপার্জন হয়।
কিছুদিন আগে এলআইসি এনেছে জীবন আজাদ পলিসি (LIC Jeevan Azad Policy)। এই পলিসি প্রধানত মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখেই আনা হয়েছে। জীবন আজাদ পলিসি প্ল্যান নম্বর ৮৬৮ স্কিমের আওতায় অর্থ বিনিয়োগ করলে নানা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুকালীন সুযোগ-সুবিধাও থাকছে। জেনে নিন এই লাভজনক পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য।
পলিসির মেয়াদ : এই পলিসির মেয়াদ হল ১৫ থেকে ২০ বছরের জন্য। পলিসি আপনি যত বছরের জন্য করবেন তার থেকে আট বছরের কম প্রিমিয়াম জমা দিতে হয়। অর্থাৎ যদি আপনি ২০ বছরের জন্য পলিসি করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে (২০-৮) =১২ বছরের জন্য প্রিমিয়াম দিতে হবে। বার্ষিক, অর্ধ বার্ষিক, ত্রৈমাসিক এবং মাসিক ভিত্তিতে প্রিমিয়াম দিতে পারবেন।
পলিসি হোল্ডারের বয়স : ৯০ দিন থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে। অর্থাৎ একদম তিন মাস বয়স থেকে শুরু করে ৫০ বছর পর্যন্ত ছোট-বড় নির্বিশেষে যে কেউ এই পলিসি নিতে পারবেন। অর্থাৎ ছোটদেরকেও এই পলিসির আওতায় রাখা যেতে পারে। বাবা মায়েরা চাইলে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই পলিসি নিতেই পারেন।
অর্থের পরিমাণ : এলআইসি জীবন আজাদ পলিসিতে বিনিয়োগ করার জন্য ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা রাখতে পারবেন। পলিসি করার সময় প্রথমেই বেসিক সাম অ্যাসিওর্ডের পরিমাণ বেছে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে ৭ গুণ পর্যন্ত রিটার্ন পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
পলিসির সুযোগ-সুবিধা : পলিসি করার সময় যে পরিমাণ অর্থ বেসিক সাম অ্যাসিওর্ড হিসেবে নির্বাচন করবেন পলিসি হোল্ডার জীবিত থাকলে সেই পরিমাণ অর্থ ফেরত পাওয়া যায়। তবে পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে বেসিক সাম অ্যাসিওর্ড ও বার্ষিক প্রিমিয়ামের ৭ গুণ পরিমাণ টাকা নমিনির হাতে তুলে দেওয়া হবে। গ্রাহকের মৃত্যুর তারিখ পর্যন্ত গ্রাহকের মোট প্রিমিয়ামের ১০৫% টাকা নমিনি পেয়ে থাকেন।