এই বছরের পুজোতে দর্শক টানতে কোনও খামতি রাখেনি টলিউড (Tollywood)। একদিকে ছিল আবির চ্যাটার্জির (Abir Chatterjee) কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন (Karnasubarner Guptodhon), অন্য দিকে দেব (Dev) এবং প্রসেনজিতের (Prasenjit Chatterjee) কাছের মানুষ (Kacher Manush)। পুজোর মরসুমে দর্শকদের জন্য ভরপুর বিনোদনের প্যাকেজ নিয়ে হাজির ছিলেন তারকারা। তবে বক্স অফিসের রিপোর্ট কার্ড বলছে দর্শকদের বিচারে দেব প্রসেনজিৎ জুটিকে মাত দিয়ে একাই বেরিয়ে গেলেন আবির।
কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধনের বক্স অফিস ফুলে ফেঁপে উঠছে। অন্যদিকে কাছের মানুষ রীতিমত ধুঁকছে। মাত্র ৩ দিনেই রেকর্ড ব্যবসা করে ফেলেছে কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন। বিপরীতে দুই মহাতারকা থাকলেও সোনাদা একাই একশো, প্রমাণ হয়ে গেল আরও একবার। পঞ্চমীতে মুক্তি পেয়ে সপ্তমী পর্যন্ত রেকর্ড ব্যবসা করেছে সোনাদা সিরিজের এই ছবিটি।
এস ভি এফ প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে বক্স অফিসের তিন দিনের রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরা হয়েছে। সেখান থেকে জানা গেল পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ছবি দেখার জন্য প্রথম তিনদিনেই ১,১০০০০ দর্শক টিকিট কেটেছিলেন। বুক মাই শো কিংবা হল মালিকদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকেও এমনটাই জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ প্রথম তিন দিনেই ছবিটি দুই কোটি টাকার কাছাকাছি ব্যবসা করেছে।
উল্লেখ্য বাংলাতে এই মুহূর্তে প্রথম সপ্তাহের উপার্জনের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে দেবের ‘চাঁদের পাহাড়’। তবে সোনাদা যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে সেই রেকর্ড ভাঙতে খুব বেশিদিন লাগবে না। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দেবের চাঁদের পাহাড় মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ৪.৮৩ কোটি টাকার কাছাকাছি আয় করেছিল। এই ছবিটিরও প্রযোজনা করেছিল এসভিএফ।
‘গুপ্তধনের সন্ধানে’, ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’ এর পর সোনাদার জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা করতে হয়েছে বাঙালিকে। সোনাদা চরিত্রে আবির চট্টোপাধ্যায়কে দর্শকরা আপন করে নিয়েছেন। এর আগেও ব্যোমকেশ বক্সী, ফেলুদার মত গোয়েন্দা চরিত্রেও আবির ১০০ তে ১০০ পেয়েছেন। তবে সোনাদা হিসেবে তার জন্য আলাদাই একটা ফ্যানবেস রয়েছে বাংলায়।
আপনাদের ভালবাসা পেলে আরো অনেক record ভাঙবে #KarnasubarnerGuptodhon!
Film running successfully at theatres near you | Book Now ?: https://t.co/w21eiS8iYH#BlockbusterHit @dhrubo_banerjee @itsmeabir @Arjun_C @m_ishaa @iamsaaurav @iammony @abhishekdagaa #PujoWithSonaDa pic.twitter.com/9DTaGCvXvd
— SVF (@SVFsocial) October 4, 2022
বাংলার প্রথম সার্বভৌম সম্রাট শশাঙ্কের রাজধানী কর্নসুবর্ণ এই ছবির গল্পের প্রেক্ষাপট। প্রফেসার সুবর্ণ সেন ওরফে সোনাদা তার দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট আবির এবং ঝিনুককে নিয়ে গৌড়েশ্বর শশাঙ্কের গুপ্তধন উদ্ধারে যাবে। এরপর সেখানে গিয়ে তাদের কোন কোন বিপদের মুখে পড়তে হবে, তারা আদেও গুপ্তধনের সন্ধান পাবেন কিনা এই নিয়ে টানটান উত্তেজনা রয়েছে গোটা ছবিজুড়ে।